আমেরিকার ওপর সামরিক নির্ভরশীলতা কমানোর সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের

আমেরিকার ওপর থেকে সকল প্রকার সামরিক নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। তার প্রয়োজনীয় সামরিক সরঞ্জাম চীন, তুরস্ক, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পাকিস্তানের বিশ্বস্ত সামরিক সূত্রের মাধ্যমে দেশটির গণমাধ্যম সোমবার জানিয়েছে, পাকিস্তান নৌবাহিনীর বেশিরভাগ সামরিক সরঞ্জাম তৈরি হয় আমেরিকায়। কিন্তু দেশটি তার নয়া সামরিক সরঞ্জাম বিশেষ করে গানবোট ও সাবমেরিন চীনের কাছ থেকে সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। সেইসঙ্গে চীন ও তুরস্কের কাছ থেকে হেলিকপ্টার গানশিপ কেনার কথা বিবেচনা করছে ইসলামাবাদ।

এ ছাড়া, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে রণতরী কেনার কথাও ভাবছে পাকিস্তান। পাশাপাশি চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়েও বেইজিং-এর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে ইসলামাবাদ। সূত্রটি জানিয়েছে, পাকিস্তান বেশ কয়েকমাস আগে থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য সেনা ক্যাডেটদের আমেরিকায় পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তান বিমান বাহিনী বর্তমানে চীন ও পাকিস্তানের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এফ-১৭ জঙ্গিবিমান ব্যবহার করছে। এ ছাড়া, এই বিমানের চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গিবিমান নির্মাণের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ।

সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১ জানুয়ারি ২০১৮ সালে নিজের প্রথম টুইটার বার্তায় আফগান সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেন। সেইসঙ্গে তিনি ইসলামাবাদকে ২০০ কোটি ডলারের সামরিক অনুদান বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের একই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে।