দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

দেশে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে সেখানে আজ সোমবার সকালে তাপমাত্রা ছিলো মাত্র ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সৈয়দপুর ও নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এবছর বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করেছে দেশের সবচেয়ে উত্তরে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়াতে। আবহাওয়াবিদরা জানান, শৈত্যপ্রবাহ এখনো পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে দুএকদিনের মধ্যে কমতে শুরু করবে।

এর আগে সবচেয়ে কম তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিলো ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে আর সেটি ছিলো ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশের দুটি স্থানে আজ তাপমাত্রা তিন ডিগ্রির নীচে নেমে এসেছিলো। তেতুলিয়া ছাড়া অপরটি হলো সৈয়দপুরে ২ দশমিক ৯ ডিগ্রি। এছাড়া নীলফামারীর ডিমলা ও রাজারহাটে ৩ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এছাড়া মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের মধ্যাঞ্চলে অর্থাৎ ঢাকা, টাঙ্গাইল ও সিলেট অঞ্চলে। আর মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে খুলনার দক্ষিণ পশ্চিম থেকে শুরু করে বরিশাল, পটুয়াখালী, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি এলাকায়।

আভাওয়াবিদের মতে চট্টগ্রাম অঞ্চল বাদ দিয়ে পুরো দেশই আসলে শৈত্যপ্রবাহের কবলে রয়েছে এবং পরিস্থিতির উন্নতি হতে আরও দু একদিন সময় লাগবে।

কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি আর ঢাকায় রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি। তবে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কাছাকাছিই থাকবে বেশ কয়েকদিন, বলছেন মিস্টার মান্নান। আর তাপমাত্রা যাই হোক না কেন জানুয়ারি মাসে পুরো দেশ জুড়েই শীতের প্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা তাদের।

গত কয়েকদিনের তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ প্রায় সব জায়গাতেই চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষজন। ইতিমধ্যেই একজনের মৃত্যুর খবরও এসেছে