রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা-ধর্ষণসহ পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়েছেঃ ড. রশিদ

গত দুদিন ধরে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওআইসি’র ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্লামেন্ট হিউম্যান রাইটস কমিটি ‘আইপিএইচআরসি’র চেয়ারপার্সন ড. রশিদ আল বালুসি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেদেশের সেনা, বিজিপি ও রাখাইন জনগোষ্ঠী বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। হত্যা করা হয়েছে শিশু ও যুবকদের। ধর্ষণ করা হয়েছে নারীদের।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২ এলাকায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ওআইসির ১৩সদস্যের প্রতিনিধিদল দুইদিন ধরে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এতে আমরা যতটুকু জেনেছি, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা ও গণধর্ষণসহ শিশুদের অগ্নিকাণ্ডে নিক্ষেপসহ নানান নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বাস্তুহারা বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা সেবা দিয়ে সে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে সে জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আর্ন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ। মিয়ানমার সামরিক জান্তার বর্বরতার যাবতীয় তথ্য উপাত্ত আমরা ওআইসি’র কাছে প্রতিবেদন আকারে পেশ করবো।’

প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ওআইসি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেড এসকে ক্যাগওয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ড. রাইহানাহ বিনতে আবদুল্লাহ, সাবেক রাষ্ট্রদূত কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জমির, আবদুল ওহাব, মাহমুদ মোস্তাফা আফিফি, এডামা নানা, নির্বাহী পরিচালক মার্গোব সেলিম বাট, হাফিদ এল হাসমি, আকমেদ আল গামদি, হাসান আবেদিন, মাহা আকিল, আবদুল্লাহ কাবি ও মোহাম্মদ গালাবাসহ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেলা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এর আগে ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার পৌঁছেন ১৩ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলটি। ওইদিন দুপুরে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন প্রতিনিধি দল। সভায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরলে ওআইসি’র প্রতিনিধিদল আবেগাপ্লুত হয়ে রোহিঙ্গাদদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।