‘আন্দোলন দমনে সরকারের টর্চারিং মেশিন হল প্রশাসন’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপিকে সমাবেশে বাধা দেয়ায় আবারও প্রমাণ হল আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। গণতন্ত্রের বিভিন্ন আন্দোলন দমনে প্রশাসনকে টর্চারিং মেশিন হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।
আজ শুক্রবার বিএনপিকে সমাবেশ করতে বাধা দেয়ার মাধ্যমে সরকারের গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রে স্বীকৃত বিরোধী দলের অধিকারের ওপর দুর্বৃত্তমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার গণতন্ত্রের নিষ্ঠুর প্রতিপক্ষ। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সারাদেশব্যাপী ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত ও কলঙ্কিত নির্বাচনকে আড়াল করার জন্যই আজ বিএনপি’র কর্মসূচি পালনে বাধা দিতে পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করেছে। ভোটারবিহীন সেদিনের নির্বাচনকে কেউ স্বীকৃতি দেয়নি বলেই তাদের সেই লজ্জা ঢাকতে বিএনপির কণ্ঠরোধ করতে আজকের কর্মসূচি দুর্বিনীত কায়দায় বাধা দেয়া হয়েছে।
রুহুল কবির অভিযোগ করে বলেন, আজকে গণতন্ত্র হত্যা দিবসে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ হুমকি দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, থানার দারোগা পুলিশ গিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে বিএনপি কার্যালয়গুলোতে তালা লাগিয়ে দিচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকারের সকল বাধা, শৃঙ্খল, নিপীড়ন, উৎপীড়ন, নিষ্ঠুরতা, নির্দয়তা, মামলা ও গ্রেফতার মোকাবেলা করেই দেশব্যাপী কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগরীর থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, ইমরান সালেহ প্রিন্স, নাজিম উদ্দীন আলম, সরফত আলী সফু প্রমুখ।