হারলে লাঠিও আনতে বলি নাই, রক্তের বন্যা ও বহাতে বলি নাইঃ ঝন্টু
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বলেছেন, ‘আমরা হারলে লাঠিও আনতে বলি নাই, রক্তের বন্যা বহাতেও বলি নাই। অনেকে বলছেন, তাঁরা হেরে গেলে রক্তের বন্যা বহাবেন। আড়াই হাতের লাঠি নাকি তৈরি হয়ে আছে!’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটের দিকে তিনি নগরীর সালেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দেন। পরে রংপুর সিটির প্রথম এ মেয়র গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি তো কেবলি ভোট দিতে এলাম। এখনো কোনো কেন্দ্রে যাইনি। তারপরও বলবো, যদি সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়, ফলাফল মেনে না নেওয়ার কোনো কারণ নাই।’
এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে একযোগে ৩৩টি ওয়ার্ডের ১৯৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তারপর খানিক বিরতি দিয়ে শুরু হবে ভোট গণনা। এবারই প্রথম এ সিটিতে মেয়র প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, আড়াই হাত বাঁশের লাঠি তাঁরা রংপুরবাসীর জন্য কোনখানে ব্যবহার করবেন। যাদের ভোট নিয়ে নির্বাচিত হবেন, তাঁদের আড়াই হাত লাঠি দিয়ে ভয় দেখিয়ে, মেরে বা পরে মারব- এই রকম বক্তব্য দিয়ে আমার মনে হয় একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।’
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ২০৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত রংপুর সিটি করপোরেশনে ওয়ার্ড রয়েছে ৩৩টি। মোট ভোটার তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ হচ্ছে এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১২ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে লড়ছেন সাবেক মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, বিএনপির কাওছার জামান বাবলা, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, বাসদের আব্দুল কুদ্দুস, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম আক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়রপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয়পার্টি থেকে বহিস্কৃত এইচ এম এরশাদের ছোট ভাইয়ের ছেলে হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ।