ফরিদপুরে স্কুল ছাত্রীর উপর হামলা, মামলা তুলে নেওয়ার হুঁমকি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী উচচ-বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সুমি আক্তারের উপর হামলার এবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুঁমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুমি আটঘর ইউনিয়নের কিত্তা গ্রামের বিল্লাল ফকিরের ছেলে।

জানা গেছে, পূর্ব-শত্রুতার জেরধরে গত ১২ ডিসেম্বর বিকালে সুমির উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে সুমি গুরুতর আহত হলে তাকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুমি এখনো ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সুমির বিল্লাল ফকির বলেন, শত্রুতা আমার সাথে থাকতে পারে, কিন্তু আমার মেয়ের সাথে তো কারো শত্রুতা নেই। অথচ আমার স্কুল পড়–য়া মেয়ের উপর নির্মমভাবে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের বশির মাতুব্বর, আলী মাতুব্বর, আখের আলী, আলিম মাতুব্বর, ইলি মাতুব্বর ও নাইম মাতুব্বরসহ কয়েক জন। এতে আমার মেয়ে মাথায় ফেটে যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর সালথা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলা করার পর থেকে আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে আমাকে হুঁমকি দিচ্ছে। শনিবার আমার ছেলে হাসপাতাল থেকে বাড়ি গেলে তাকে ধাওয়া দেয় আসামীরা। এখন আমার পরিবার এলাকা ছাড়া। এবিষয় আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার এসআই আশরাফ হোসেন বলেন, মামলা করার পর একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি