‘ট্রাম্পের ঘোষণা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তাকে হুমকিগ্রস্ত করবে’

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একটি প্রতিনিধি দল তেহরান সফরে এসেছেন। তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার তার দেশের দূতাবাস তেল আবিব থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসে স্থানান্তর করার যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সরাসরি সমর্থন রয়েছে।

মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে গত বুধবার বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই শহরে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের প্রক্রিয়াও শুরু করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। বায়তুল মুকাদ্দাস তথা আলকুদসকে ইসরাইলের দখল করা ভূখণ্ড বলে মনে করে জাতিসংঘ। তাই এ দখলদারিত্ব পুরোপুরি অবৈধ।

জাতিসংঘের প্রস্তাবে বায়তুল মুকাদ্দাসসহ ১৯৬৭ সালে ইসরাইলের দখল-করা সব ভূখণ্ড ফিলিস্তিনিদের কাছে ফিরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। আজ (রোববার) তেহরানে অনুষ্ঠিত একটি বিশেষ বৈঠকে হামাসের প্রতিনিধি দলের প্রধান খালেদ কাদুমি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।

তিনি আরো বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকা মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র মেতে উঠেছে এবং উসকানি দিচ্ছে। প্রতিনিধি দলের প্রধান কাদুমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, তার এ সিদ্ধান্ত কেবল ফিলিস্তিনিদের জন্য নয় বরং গোটা বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তাকে মারাত্মক হুমকিগ্রস্ত করবে।

তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনিরা কখনোই ট্রাম্পের এ অবৈধ স্বীকৃতিকে মেনে নেবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ফলে ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আরো ব্যাপক মাত্রায় দমন পীড়ন এবং নির্যাতন চালাতে উৎসাহিত হবে।”