মোংলায় কাস্টম হাউস স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে খুলনা থেকে কাস্টম হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তর শুরু হয়েছে।

অবশেষে খুলনা কাস্টমসের দুটি ইউনিট মোংলায় স্থানান্তর করার মধ্য দিয়ে খুলনা থেকে কাস্টম হাউস মোংলায় আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কাস্টমসের দুটি ইউনিট বুধবার থেকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ভবনে কার্যক্রম শুরু করেছে। মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু অ্যান্ড সন্সের এমডি এইচ এম দুলাল বলেন, মূলত মোংলা কাস্টম হাউস খুলনায় থাকাতে ব্যবসায়ীদের একবার মোংলা একবার খুলনা এভাবে যাতায়াত করে প্রচুর সময় নষ্ট করতে হতো। এতে কাজেরও অনেক ব্যাঘাত ঘটে। কাস্টম অফিসের কার্যক্রম মোংলায় শুরু হওয়ায় এখন থেকে স্বল্প সময়ে কাজকর্ম সম্পন্ন করা যাবে।

মোংলা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাস্টম হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের কাজ চলছে। বুধবার থেকে বন্দরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ভবনে আমদানীকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ও রপ্তানি পণ্য শুল্কায়নের দুইটি ইউনিটের ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ শুরু করেছেন। কক্ষ স্বল্পতার কারণে একসঙ্গে সব দাপ্তরিক কার্যক্রম এখনো শুরু করা যাচ্ছে না। অল্প সময়ের মধ্যে কাস্টমসের পুরো হাউস এখানে চলে আসবে এবং সেই প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে কাস্টমস কমিশনার মারগুব আহম্মেদ আপাতত ব্যবহারের জন্য কাস্টমসকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া ভবন ঘুরে দেখে গেছেন।

বর্তমানে এখানে ব্যাংকিংব্যবস্থা থাকলেও এটিকে আরো ব্যাপক পরিসরে আনতে হবে তা না হলে ব্যাংকিং সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে না। মোংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. মারগুব আহম্মেদ বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে খুলনা থেকে কাস্টম হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমদানীকৃত গাড়ি ও রপ্তানি শুল্কায়নের প্রধান দুটি ইউনিট মোংলা বন্দরে স্থানান্তরিত হয়েছে এবং সেখানে তাঁরা কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা পুরো হাউসকে মোংলা বন্দরে নিয়ে যেতে পারব। এ ছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেওয়া জায়গার ওপর কাস্টমসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, বন্দরের প্রধান গেটসংলগ্ন নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ভবনে কাস্টমসকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে কাজও শুরু করেছেন। এতে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এক জায়গায় বসে বন্দরের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।