থ্রিজি সিমে ব্যাপক সাড়া

২০১৬-১৭ অর্থ বছর শেষে দেশে কার্যকর থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা পাঁচ কোটি ছুঁই ছুঁই।

অপারেটরদের আয়ের দিক দিয়ে না হলেও সংযোগ সংখ্যায় অন্তত থ্রিজি ইন্টারনেট শেষ পর্যন্ত একটি সম্মানজনক অবস্থানে এসেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রকাশিতব্য বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, জুনের শেষে দেশে থ্রিজি সংযোগ উঠেছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ। আর এর মধ্যে এই সংখ্যা ৫ কোটি পেরিয়ে গেছে।

শুধু ২০১৬-১৭ অর্থ বছরেই দুই কোটি নয় লাখ সিম থ্রিজি ইন্টারনেট এসেছে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছর শেষে থ্রিজি সিমের সংখ্যা ছিল দুই কোটি ৮৮ লাখ। তার আগের বছর জুনের শেষে এটি ছিল এক কোটি ৮০ লাখ। আর ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের শেষে দেশে থ্রিজি সংযোগ ছিল ৪৪ লাখ। অনেক দিন থেকে অপারেটররা থ্রিজি ইন্টারনেট বাংলাদেশে ব্যর্থ হয়েছে বললেও তার কিছুটা হলেও এখন ঘুচছে বলে মনে করেন খোদ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, যে খরচ করে অপারেটররা দেশে থ্রিজি সেবা এনেছেন তার পুরোটা হয়তো উঠবে না। কিন্তু সামগ্রিক আয়ের দিক দিয়ে সংযোগ সংখ্যা বৃদ্ধি নিশ্চয়ই প্রভাব ফেলবে। অর্থ বছরের শেষ মাস জুনে থ্রিজি সংযোগ ৪ কোটি ৯৭ লাখ হলেও একই সময়ে টুজি প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট ব্যবহার হয়েছে আরো এক কোটি ৯০ লাখ সিমে। থ্রিজি সংযোগের সাফল্যের কারণে দেশে টুজি ইন্টারনেট যুক্ত সিম এবং একই সঙ্গে ইন্টারনেটবিহীন সিমও কমেছে।

জুন মাসের শেষে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ নেই এমন সিম আছে ছয় কোটি ৭৩ লাখ। এক বছর আগেও এটি ছিল সাত কোটি ১৭ লাখ। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের শেষে এটি ছিল সাত কোটি ৮৫ লাখ। আর তারও আগের বছর এটি ছিল আট কোটি দুই লাখ।

দেশে ইন্টারনেট যুক্ত সিম বিশেষ করে থ্রিজি সংযোগ বৃদ্ধির কারণে সিম প্রতি ডেটা বৃদ্ধিও অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।