পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নীলাচল

“এসো বন্ধু দেখে যাও এস্বর্গ তুমি, পাহাড় ছুঁয়েছে আকাশ এখানে, আকাশ ছুঁয়েছে ভূমি”। সত্যি অপরূপ এ দৃশ্য বাস্তবে পরিলক্ষিত হয় বান্দরবানের পর্যটন স্পট নীলাচলে। আকাশ আর পাহাড়ের গভীর মিতালী গড়ে উঠেছে এখানে। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাধানে পরিচালিত অন্যতম পর্যটন স্পট নীলাচল পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

 

সারা বছর এখানে পর্যটকের ভীড় লেগেই থাকে। শহরের সন্নিকটে, যাতায়ত ব্যবস্থা সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় খুব সহজেই পর্যটকরা এখানে যেতে পারে। নীলাচলের অপরূপ সৌন্দর্য্য সহজেই মন কেড়ে নেয় ভ্রমন পিপাষুদের। এখান থেকে উপভোগ করা যায় বান্দরবান শহরের পুরো দৃশ্য। ভূ-পৃষ্ট থেকে দু’হাজার একশ ফুট উঁচু হওয়ায় শেষ বিকেলে এখান থেকে সূর্যাস্তও দেখা যায় অনায়াসে, আর বর্ষাকালে মেঘ নেমে আসে একেবারে হাতের কাছেই। তাই বর্ষাকালে মেঘের স্পর্শ পেতে পর্যটকদের ভীড় আরো বেড়ে যায় নীলাচলে। নীলাচলের চূড়ায় বসে পাহাড় আর মেঘের দৃশ্য উপভোগ করতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দেয় বেড়াতে আসা পর্যটকরা। পর্যটকদের রাত্রি যাপনের জন্য অত্যাধুনিক কটেজও রয়েছে এখানে। রাতের নীলাচল উপভোগ করতে চাইলে স্বল্প মূল্যে কটেজ ভাড়া নিয়ে যে কেউ এখানে রাত্রি যাপন করতে পারে। প্রশাসনের তত্ত্বাধানে পরিচালিত বিধায় নিরাপত্তা নিয়েও কোন শঙ্কা নেই। রাতের বেলা নীলাচল থেকে পুরো বান্দরবান শহরের সৌন্দর্য্যটাই উপভোগ করা যায়। সন্ধার পর পাহাড়ের বুকে পিদিম জ্বলার মত জলে উঠে বান্দরবান শহর আর এটি একমাত্র নীলাচল থেকেই উপভোগ করা যায়। তাই একবার যারা নীলাচলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছেন তারা বার বার ছুটে আসেন এখানে। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় বিনোদন ধর্মী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নীলাচল অন্যতম।

জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর আলী নূর খান জানান, নীলাচল পর্যটকদের কাছে দিন দিন আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তাই পর্যটকদের কথা ভেবে ঐতিহ্যবাহী খাবারের রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এমনকি নতুন মিনি শিশু পার্ক, নীলাচল-শৈল প্রপাত রাস্তা সংস্কারের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন নতুন আরো কিছু কটেজ করার পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে, যা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে”।

সোহেল কান্তি নাথ, বান্দরবান প্রতিনিধি