মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার মেয়র তারিক আব্দুল আলা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্নীতি ও অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পৌরসভার ১২ কাউন্সিলরের মধ্যে ৮ জন কাউন্সিলর। সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উলিপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান মেয়র তারিক আবুল আলা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই পৌর পরিষদকে পাশ কাটিয়ে একের পর এক অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন। তিনি বিএনপি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচিত হওয়ায় সব সময় দলীয় ক্যাডার দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকেন। যার কারণে সাধারণ পৌরবাসী এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে এটা পৌরসভা নাকি বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়। যেখানে মানুষ সেবা নিতে আসলেও ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। তার এইসব অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তিনি নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন কাউন্সিলরদের। তিনি দরপত্র আহবান না করে বিধি বহির্ভূতভাবে তার দলীয় ও পছন্দের লোক দিয়ে কোটেশনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার কাজ করেছেন। জাইকার চলমান কাজের প্রকল্প গুলোতে প্রকল্প ও কোটেশন আহবান করে কাজ না করেই টাকা উত্তোলন, পৌর কর্মচারিদের নামে চেক ইস্যু করে বিভিন্ন কাজ দেখিয়ে টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে তিনি পৌরসভার প্রায় আড়াই কোটি টাকা তছরুপ করেছেন, যা আত্মসাতের সামিল বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। ফলে উলিপুর পৌরসভায় সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছেও বলে অভিযোগ করা হয়। এসময় আরো বলা হয়, প্রমাণসহ এসব অভিযোগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৩নং প্যানেল চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর মোছাঃ মনোয়ারা বেগম, মোঃ আমিনুল ইসলাম, আবুল কাশেম, মোছাঃ নুসরাত জাহান রুমা, মোঃ নুর ইসলাম, মোস্তাফিুর রহমান মন্ডল। কাউন্সিলর মোঃ গুল্লু মিয়া চিকিৎসার জন্য ঢাকায় থাকলেও মোবাইলে এই সংবাদ সম্মেলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র তারিক আব্দুল আলা চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে বলেন, জনগণ আমার কাজের উন্নয়নের সুফল পাচ্ছেন।
মোঃ মনিরুজ্জামান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি