বিয়ের বয়স ২৫ নাকি তারও বেশি?

একটা বয়সের পর ‘কেমন আছো’ প্রশ্নের চেয়ে, বেশি শুনতে হয় “দাওয়াত কবে পাচ্ছি” প্রশ্নটি। যেসকল দেশে বয়সের মাপকাঠিতে বিয়ের সময় পরিমাপ করা হয়, তার মধ্যে আমাদের দেশ একটি। কেউ বলবে ২৫শে বিয়ে, কেউবা বলবে আরো আগে। উল্টো আবার কেউ বলে, যতোদিন পারো আনন্দ করে নাও, তারপর না হয় বিয়ে করা যাবে। তবে বিয়ের আসলে সঠিক বয়স কোনটি?

প্রাকৃতিক দূষণ ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শারীরিক জটিলতার আশংকা বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য সন্তান ধারণ ও সুস্থ জীবনের জন্য বিয়ের তাড়াটা, বৈজ্ঞানিকভাবেই বেড়েছে। কিন্তু বিয়ে শুধু করলেই চলেনা, তার পরে সুখেও থাকা চাই। বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, বিয়ের নির্দিষ্ট বয়স না থাকলেও, বিয়ের সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কত বছর বয়সে বিয়ে করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী ২৮ – ৩২ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করলে নাকি মোটামুটি সফল বিবাহের সম্ভাবনা থাকে। কারণ কী? এই বয়সে মানুষের মাঝে পরিণতবোধ আসে। তারুণ্যের অস্থিরতা কাটিয়ে জীবনে তখন স্থিতি আসে। গবেষক নিকোলাসের মতে, তিরিশের কোঠায় বিয়ের এই সফলতা অনেকটাই নিশ্চিত করে আর্থিক নিশ্চয়তা। তাই বয়স বাড়লেই চলবে না, নিজেকে করতে হবে স্বাবলম্বী।

আপনার বয়স ৩৫ আর এখনও বিয়ে হয়নি, তাই বলে রেগে যাবেন না যেন। বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সের পাশাপাশি জড়িয়ে থাকে আরো কিছু বিষয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে, নিজেকে দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত ভাবতে হবে, ক্যারিয়ার কোন পর্যায়ে ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, নিজের সঙ্গে অন্যের দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতা গড়তে পারলে। নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষের নতুন দিকগুলো খোলা মনে গ্রহণ করার দৃঢ়তা অর্জন করতে পারলে।

একটা কথা না বললেই নয়। মানুষ আপনি ভিন্ন, তাই আপনার বিয়ের সময় ও কারণও হবে ভিন্ন। তাই বলে ভুল করবেন না। বন্ধুরা সবাই বিয়ে করছে, আত্মীয়রা কি বলবে, একাকী বোধ হচ্ছে, শেষ বয়সে সঙ্গী দরকার, সাবেক প্রেমিক বা প্রেমিকা বিয়ে করেছে, এধরনের কারণের জন্য কখনোই বিয়ে করবেন না।