টাইফয়েডের জীবাণু ঝালমুড়ি-ভেলপুরিতে

রাজধানীর প্রায় প্রতিটি স্কুল বা বিভিন্ন সড়কের সামনে প্রতিদিন ঝালমুড়ি, ভেলপুরি, আচারসহ নানা খাদ্যসামগ্রীর পসরা বসে। স্কুলে প্রবেশের আগে ও ছুটির পর ছাত্র-ছাত্রীরা রীতিমতো লাইনে দাঁড়িয়ে মজা করে এসব খাবার খায়। অথচ এসব খাবারেই রয়েছে টাইফয়েডবাহী সালমোনিলা রোগের জীবাণু। মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে ঝালমুড়ি ও ভেলপুরির নমুনা পরীক্ষায় এ জীবাণু পাওয়া গেছে।

৪ নভেম্বর দুপুরে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে প্রকাশিত ‘মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অব হর্টিকালচার প্রোডাক্টস অ্যান্ড আদার ফুড কমোডিটিজ ফর কেমিক্যাল কন্টামিনেশন অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজিক্যাল অ্যাট এনএফএসএল : এন অ্যাপ্রাইজাল অব ফুড সেফটি সার্ভে ইন বাংলাদেশ-সেকেন্ড রাউন্ড’ শীর্ষ জরিপ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর বিভিন্ন থানার ৪৬টি স্কুলের সামনে থেকে ৪৬টি ঝালমুড়ি, ৩০টি ফুসকা, ১৬টি ভেলপুরি ও ৪২টি আচারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত এসব নমুনাতে মাইক্রোটক্সিন, কৃত্রিম রঙের উপস্থিতি ও মাইক্রোবায়োলজিক্যাল, ঈস্ট-মোল্ড, কলিফর্ম, সালমোনিলা, ই-কলাইয়ের উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করা হয়। ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১৬টি ভেলপুরি নমুনার সবগুলোতেই ঈস্ট-মোল্ড ও কলিফর্মের পরিমাণ স্বাভাবিকমাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া যায়।

এ ছাড়া ৫টি নমুনাতে টাইফয়েডবাহী জীবাণু সালমোনিলা পাওয়া গেছে। ১৩টিতে ই-কোলাই, ৩০টি ফুসকার নমুনার সবগুলোতেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে কলিফর্ম ও ঈস্ট-মোল্ড এবং ফুসকার ২৭টি নমুনাতে ই-কোলাই পাওয়া গেছে।

সংগৃহীত ৪৬টি ঝালমুড়ি নমুনার সবগুলোতেই মাত্রারিক্ত কলিফর্ম, ৩৯টিতে ই-কোলাই, ৩টিতে টাইফয়েডবাহী সালমোনিলা জীবাণু পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ৪২টি আচারের নমুনা ভেলপুরি ও ঝালমুড়ির চেয়ে তুলনামূলক ভালো বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।