আপনাকে খুব দুর্বল করে দিচ্ছে এসি!

বাতাসে ভাসছে শীতের গন্ধ। শেষ রাতের দিকে শীত অনুভূত হচ্ছে ইতিমধ্যে। তাই বিশ্রামের সময় বেড়েছে ঘরের এসিটার। কিন্তু কর্মজীবি মানুষদের অনেকেই এখনও একটা দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন এসির নীচে। অফিসে সেন্ট্রাল এসির ব্যবস্থা থাকায়, অনেকটা বাধ্য হয়েই তাদের তা করতে হচ্ছে। এছাড়া গরমেও পরম ভরসা মনে করা হয় এসিকে। কিন্তু সারাদিনের এসি, শরীরে আমন্ত্রণ জানায় নানান সমস্যার।

অতিরিক্ত এসিতে থাকলে শরীরে আদ্রতার অভাব তৈরি হয়ে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। সেই সঙ্গে শুষ্ক হয়ে পড়ে ত্বকও। একই সঙ্গে মাইগ্রেন, কোষ্ঠকাঠিন্য, ইউরিনের স্বল্পতা, পেশীতে টান লাগা, শ্বাস কষ্টের মতো সমস্যা আরো তীব্র হয়ে ওঠে। যারা সবসময় এসির নীচে থাকেন, তাদের শরীর বাইরের তাপমাত্রায় সহজে মানিয়ে নিতে পারে না। ফলে তাপমাত্রার তারতম্য খুব সহজে তাদের অসুস্থ করে দেয়।

এসির কারণে মস্তিষ্কের সাধারণ কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যার কারণে মনোযোগ ধরে রাখা ও স্মৃতিশক্তির অবনতি ঘটতে পারে। অনেকের আবার ঘনঘন মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকের দিনভর চিনচিন মাথা ব্যথা অনুভব হয়।

গবেষণা অনুযায়ী, অনেক্ষণ এসির বাতাসে থাকলে চোখের পানিও শুকিয়ে যায়। তখন কান্না করলে খুব কম পানি বের হয়। ফলে কান্নার মাধ্যমে চোখ পরিষ্কার, মানসিক চাপ কমা ও কর্মদক্ষতা বাড়ার কাজগুলো বাঁধা প্রাপ্ত হয়। অন্যদিকে গরম, ঘাম, অস্বস্তি থেকে বাঁচতে আমরা যেখানে এসিকে বেঁছে নিচ্ছি, সেখানে এসির কারণেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পরে। কারণ এসি শরীরকে দুর্বল করে খুব জলদি ক্লান্তি এনে দেয়।

গরমের সময় সূর্যের এক্সপোজার অনেক বেশি থাকে। তখন এসির বাতাস ত্বককে অনেক বেশি রুক্ষ করে চুলকানির সমস্যা তৈরি করতে পারে। একই সঙ্গে অ্যাজমা ও সব ধরনের অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে। এসির বাতাস নাকের প্যাসেজ শুষ্ক করে, তাতে ঝিল্লি আবরণে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। তাই সারাদিন এসির নীচে আর নয়। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরমে না থেকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকার চেষ্টা করুন।