শীতে শিশুকে সুস্থ রাখতে বাড়িতেই বানিয়ে রাখুন আয়ুর্বেদিক চ্যবনপ্রাশ রেসিপি

আবহাওয়া যে বদলাচ্ছে তা জানান দিচ্ছে সর্দি-কাশি, জ্বরের মধ্যে দিয়ে। এই সময় সন্তানদের সুস্থ রাখতে আগে সব বাড়িতেই মা, দিদিমারা তুলসি, বাসক, পিপুলের মতো আয়ুর্বেদিক পথ্যের সাহায্য নিতেন। আর ছিল চ্যবনপ্রাশ। যা বাচ্চাদের খাওয়ানো হতো সারা শীতকাল।

অনেকেই বেশি দিন রাখার জন্য চ্যবনপ্রাশে পটাশিয়াম সরবেট জাতীয় প্রিজারভেটিভ মেশান। তবে তা না মেশানোই ভাল। চিনির বদলে অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন গুড়।  শীতে বাচ্চাদের সুস্থ রাখতে অনেক বাড়িতে বানানো হয় চ্যবনপ্রাশ। বাড়িতে চ্যবনপ্রাশ তৈরির জনপ্রিয় আয়ুর্বেদিক রেসিপি দেওয়া হল।

উপকরণ

আমলকী: ৭৫০ গ্রাম, চিনি: ৭৫০ গ্রাম, মধু: ৮৫ গ্রাম, ঘি: ২৫০ গ্রাম, তিল তেল: ৭৫ মিলি, গুঁড়ো পাউডার, এলাচ: ২৫ গ্রাম, ত্রিফলা: ১২ গ্রাম, চন্দন: ১০ গ্রাম, গোলমরিচ: ১০ গ্রাম, আদা: ১০ গ্রাম, দশমূল: ৫ গ্রাম, তেজপাতা: ৫ গ্রাম, জায়ফল: ৫ গ্রাম, লবঙ্গ: ৫ গ্রাম, দারচিনি: ৫ গ্রাম, মৃগশিরা: ২.৫ গ্রাম, নাগকেশর: ২.৫ গ্রাম

প্রণালী

সব গুঁড়ো পাউডার একটা কাচের বাটিতে একসঙ্গে মিশিয়ে সরিয়ে রাখুন। আমলকী ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। কাঁটা দিয়ে আমলকীর গা চিরে নিয়ে প্রেশার কুকারে ২টো হুইসল পর্যন্ত সিদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ আমলকীর বীজ ফেলে ভাল করে চটকে ক্কাথ তৈরি করে রাখুন।

এ বার একটা তলামোটা পাত্র বা নন-স্টিক ফ্রাইং প্যানে ঘি ও তেল গরম করে চিনি দিন। আমলকীর ক্কাথ দিয়ে আঁচ একদম কমিয়ে। জল একদম শুকিয়ে গেলে পাউডারের মিশ্রণ দিয়ে দিন। ভাল করে মেশান। আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এর সঙ্গে মধু মেশান।

স্টেরিলাইজড কাচের বোতলে ঢেলে রাখুন। প্রয়োজন মতো আপনার শিশুকে খাওয়ান এবং নিজে ও খান।

চ্যবনপ্রাশ শুধু শীত কালেই খান। অন্য সময়ে খেলে শরীর বেশি গরম হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।