ওজন কমানো ও পেশী সুগঠিত করতে এডিএফ বা অল্টারনেট ডে ফেস্টিং
ওজন কমানোর জন্য প্রতি দিনই নতুন নতুন উপায় বের করছে নিউট্রিশনিস্টরা। একদল ক্যালোরি মেপে খাওয়ার পরামর্শ দিলে অন্যজন জানাচ্ছেন দিনে ৬ বার খাওয়ার কথা। আবার কেউ কেউ জোর দিচ্ছেন একবেলা উপোসের উপর। মেদ ঝরানোর এমনই এক প্রচলিত পদ্ধতি অল্টারনেট ডে ফাস্টিং বা এডিএফ।
জেনে নিন এই ডায়েট সম্পর্কে।
এডিএফ বা অল্টারনেট ডে ফেস্টিং-এ একদিন বাদে একদিন উপোস করার নিয়ম। আদি মতে যে দিন উপোস করা হয় সে দিন শুধুই চিনি ছাড়া তরল পদার্থ খাওয়ার নিয়ম ছিল। তবে আধুনিক মতে এই দিনগুলোয় ৫০০ ক্যালোরির কম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন ডায়েটিশিয়ানরা। এই ডায়েটের বহু উপকারিতার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। যার মধ্যে প্রধান, হাঙ্গার হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
সাধারণত ওবেস বা মোটা মানুষদের এই ধরনের ডায়েটে থাকার পরামর্শ দেন নিউট্রিশনিস্টরা। এই ডায়েট মেনে চললে মেদ যেমন তাড়াতাড়ি ঝরে, তেমনই হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
ডায়াবেটিকদের জন্যও এডিএফ উপকারি। কারণ, এডিএফ রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যখন কম ক্যালোরি খাওয়া হয়, তখন তা শরীরে পুরনো কোষ প্রতিস্থাপন করে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। যা বয়স ধরে রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক গবেষকরাই জানিয়েছেন, এডিএফ ওজন কমানোর পাশাপাশি পেশী সুগঠিত করতেও সাহায্য করে। এ ছাড়াও রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ও ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্যে করে।
যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে
যে দিন উপোস করবেন সে দিন কোনও ভাবেই ৫০০ ক্যালোরির বেশি খাবেন না।
চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব ফল ও সবজি খেতে।
পর্যাপ্ত জল, স্যুপ ও চিনি ছাড়া পানীয় অবশ্যই যেন থাকে ডায়েটে।
ইচ্ছা হলে আপনার ক্যালোরির পরিমাণ দুভাগে ভাগ করে নিতে পারেন। অথবা একবারেই বড় মিল খেতে পারেন।
যে দিন উপোস করছেন না সে দিন বেশি খাওয়া বর্জন করুন। প্রোটিন, ভিটামিন, গোটা শস্য, তাজা ফল, সবজি খাওয়ার দিকে মন দিন।
অল্টারনেট ডে ফাস্টিং কতটা সুরক্ষিত?
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, এই ধরনের উপোস সকলের জন্য উপকারি। যদি আপনার ওজন অতিরিক্ত নাও হয় তা হলেও অল্টারনেট ডে ফাস্টিং আপনি মেনে চলতে পারেন। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্যও শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি এই উপোস লাভজনক। কারণ এই ডায়েট হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও মেটাবলিজমে সাহায্য করে।