এ প্রজন্মের ফ্যাশনে খাদি কতটা জনপ্রিয় হতে পারে?

আধুনিকতা আর ঐতিহ্যের মিশেলে বাংলাদেশে খাদি কাপড়ের পোশাকের একটি প্রদর্শনী হয়ে গেল ঢাকাতে। চিরায়ত বাংলার খাদি কাপড়কে অবলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনতেই এমন প্রদর্শনীর আয়োজন। এফ ডি সি বির প্রেসিডেন্ট মাহিন খান জানালেন, নতুন আঙ্গিকে খাদিকে জনপ্রিয় করে তোলাই তাদের আয়োজনের উদ্দেশ্য।

নতুন প্রজন্মের কাছে খাদি এখনও খুব বেশি পরিচিত নয়। তবে খাদির রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য ও বিশেষ স্টাইল। এ প্রজন্মের ফ্যাশনে খাদি কতটা জনপ্রিয় হতে পারে – তা জানালেন বাংলাদেশি ডিজাইনার শাহরুখ আমিন। হাতে কাটা সুতা থেকে তাঁতে বুনে প্রস্তুত করা হয় খদ্দর। প্রচলিত বিভিন্ন তাঁতে-বোনা কাপড়ের সাথে এখানেই এর বড় পার্থক্য। বর্তমান সময়ে মেশিনে তৈরি সুতার কাপড়ের ভিড়ে তাই খাদি এক রকম বিলুপ্তির মুখেই পড়েছিল। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্যাশন ডিজাইনাররা মনে করছেন, পরিবেশবান্ধব এ ধরনের পোশাক কে জনপ্রিয় করার সময় এসেছে।

এই ফ্যাশন শো তে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত , নেপাল, শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মোট ২৬ জন ডিজাইনার অংশ নিয়েছিলেন। ভুটানের ফ্যাশন ডিজাইনার চিম্মি চদেন বললেন, তিনি মনে করেন খাদির অনেক সম্ভাবনা আছে । খাদির প্রতি ফ্যাশন সচেতন দর্শকদের আগ্রহের মাঝেই মুলত খাদির সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে। দর্শক এবং আয়োজকদের বিশ্বাস একটি পরিবেশ বান্ধব এবং সচেতন ফ্যাশন শিল্প গড়ে তুলতে খাদি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

আর সেটি খাদির ঐতিহ্য নিয়ে যাবে নতুন প্রজন্মের কাছে। অতীত আর ভবিষ্যতের মেলবন্ধনে একটি পরিবেশ বান্ধব এবং সচেতন ফ্যাশন শিল্প গড়ে তুলতে খাদি অন্যতম ভুমিকা রাখতে পারে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে পোষাকের ক্ষেত্রে খাদির মাধ্যমে নিজেদের শেকড়ের কাছে ফিরে যেতে পারে ডিজাইনার দের তেমনটিই প্রত্যাশা।