স্কুলের মধ্যে অলৌকিক কাণ্ড, অতঃপর!

অন্ধকার স্কুলের করিডোর। কেউ কোথাও নেই। শুধু সিসিটিভি নজর রেখে চলেছে সর্বক্ষণ। কখনও জায়গা থেকে সরে যাচ্ছে চেয়ার তো কখনও নিজে থেকেই মাটিতে পড়ছে স্কুলের ব্যাগ।

অশরীরীর অস্তিত্ব অনেকেই বিশ্বাস করেন না। আবার অনেকেই নিজেদের অদ্ভুত কিছু অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রমাণ করতে চান মৃত্যুর পরও আত্মার অস্তিত্ব থেকে যায় এ পৃথিবীতেই। যারা অতৃপ্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়ায় সমাজের নানা স্থানে। এমনকী শিক্ষাঙ্গনেও। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের কর্কের ডিয়ারপার্ক সিবিএস স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে তেমনই কিছু ভৌতিক ঘটনা।

যে ফুটেজ দেখলে ভয়ে গা শিউরে উঠবে। গত ১ অক্টোবর একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছিল ডিয়ারপার্ক সিবিএস স্কুল। যেখানে এমনই অদ্ভুত অলৌকিক কিছু ঘটনা দেখা গিয়েছিল। এবার ২৬ অক্টোবর একটি নতুন সিসিটিভি ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ স্কুলের করিডোরে এমনই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। আরও কিছু ফুটেজ তাদের কাছে রয়েছে। সেগুলিও প্রকাশিত হবে। দেখানো হবে স্কুলের ভিতরের আতঙ্কের ছবি।

প্রশ্ন উঠছে, এ কী সত্যিই ভূতুড়ে কাণ্ড নাকি পুরোটাই সাজানো? স্কুলেরই এক ছাত্র পুরো বিষয়টিকে সাজানো ঘটনা বলেই অবশ্য জানাচ্ছে। তার বক্তব্য, স্কুলের সহ-প্রধান শিক্ষকই ইচ্ছাকৃতভাবে এই সব কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। প্রথম ফুটেজ নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। তাই মজা করে আবার একটি ভিডিও সামনে এনেছেন তিনি। অনেকেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে বলেছেন, যখন প্রমাণ হয়েই গিয়েছে যে প্রথম ফুটেজটি নকল, তার সঙ্গে অলৌকিক কাণ্ডকারখানার কোনও সম্পর্ক নেই, তখন কেন ফের মানুষের মনে ভয় ঢোকাতে আরেকটি ফুটেজ প্রকাশ করল স্কুল?

জানা যাচ্ছে, হ্যালোইন উৎসবের প্রচারের জন্যই নাকি এমন ভূতুড়ে কাণ্ডের পরিকল্পনা করেছে স্কুল। যে ভিডিও থেকে অর্থ উপার্জনও হচ্ছে তাদের। যদিও খবরের সত্যতা যাজাই করা হয়নি। তবে ঘটনা যাই হোক, মানুষ যে এ ভিডিও দেখে শিহরিত হতে ভালবাসছেন, তা এটি ভাইরাল হওয়াতেই প্রমাণিত।