লালপোকা নতুন এক আতঙ্কের নাম!

রবিবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে সেই পোকার কামড় নিয়েই ভর্তি এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

বিচিত্র এই বিশ্বে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পোকা-মাকড়ের উপদ্রব দেখা যায়। তেমনই লাল রঙের ছোট্ট একটা পোকা যার কামড়ে জ্বরের প্রকোপ নিয়ে কিছু দিন আগে আলোচনা শুরু হয়। এই পোকার নাম ট্রম্বিকিউলিড মাইটস। তবে এর মূলে রয়েছে স্ক্রাব টাইফাস ব্যাকটিরিয়া। ডেঙ্গু যেমন এডিস মশার কামড়ে হয়, এই ব্যাকটিরিয়াটি তেমনই শরীরে ঢোকে ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের পোকার কামড়ে। এর জেরে প্রবল জ্বর এবং চিকিৎসা শুরু না হলে একে একে বিকল হতে পারে বিভিন্ন অঙ্গও।

জানা গেছে,  বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে দিন দশেক আগে জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন গড়িয়ার বছর ষাটেকের এক প্রৌঢ়া। রক্ত পরীক্ষায় কোনো কিছুই ধরা না পড়ায় হাসপাতালের থেকে স্ক্রাব টাইফাস-এর পরীক্ষা করানো হয়। দেখা যায়, রিপোর্ট পজিটিভ। কিন্তু ততক্ষণে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ অকেজো হতে শুরু করেছে তাঁর। রবিবার তিনি মারা যান।

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রমৌলি ভট্টাচার্য জানান, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই অসুখ প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসকরা আরও জানান, যেখানে গাছপালা বেশি, সেখানেই এই পোকার অস্তিত্ব রয়েছে। এর কামড়ে প্রাথমিক ভাবে কোনো জ্বালা-যন্ত্রণা হয় না। শরীরের যে সব অংশ খুব বেশি নজরে পড়ে না, মূলত সেই সব জায়গাতেই কামড়ায়। এ থেকে জ্বর তো হয়ই, তারপর মেনিনজাইটিসও হতে পারে। লিভার, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এখন পর্যন্ত এই রোগটি নির্ণয়ের ব্যবস্থাও খুব বেশি জায়গায় নেই। সরকারি ভাবে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং কয়েকটি বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।