দুলাল চন্দ্রের ডিজিটাল সি এন জি!

দুলাল চন্দ্র দাশ সৌখিন পেশাদার সিএনজি চালক। যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা ভার্সিটি। ভাড়া ২০০ টাকার কমে কেউ না গেলেও দুলালের ১৮০ টাকা হলেই হবে। তার একটাই অনুরোধ, তার ছবি তুলে যেন ফেসবুকে দেওয়া হয়।

দুলালের সিএনজিতে ঢুকলে আরও বেশি অবাক হতে হয়। সিটের উপর তোয়ালে বিছানো, ছিমছাম। রয়েছে ফ্যানের ব্যবস্থা।

তারপর আছে ডি জে লাইট। ভিতরের কান্ডকারখানা সত্যিই অবাক করার মত। ডান কর্ণারে বাধা টিস্যু বক্স। ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় একটা কাঠের বাক্স। সিগারেট খাওয়ার লাইটার, পেন্সিল, কলম, প্যাড, বডি স্প্রে (লেডিস/জেন্টস আলাদা), ফেয়ার এন্ড লাভলী (লেডিস & জেন্টস), ছোটদের গল্পের বই, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ইত্যাদি ইত্যাদি।

উপরে মনিটর, লাইট, ঘড়ি, পেছনে সাউণ্ডবক্স সাথে ফ্রি ওয়াই ফাই।

এসবের চেয়েও যেটি মূখ্য সেটি দুলালচন্দ্রের মানবিকতা। গরীব রোগীদের জন্য তার সার্ভিস সম্পূর্ণ ফ্রি। রোগীর জন্য আছে স্যাভলন, ব্যান্ডেজ, প্যারাসিটামল,মুভ ইত‍্যাদি। ইমার্জেন্সী সাইরেনও বাজানো যায়। যেন একটা ছোটখাট অ্যাম্বুলেন্স। একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। পুরোটাই দুলাল চন্দ্রের বড় মনের পরিচয়। এমন অদ্ভুত বড় মন আজকাল খুব কম পাওয়া যায়। (সংগ্রহীত)