ফেসবুকে মিলার মিথ্যা নির্যাতনের ছবি

১০ বছর প্রেমের পর ভালোবেসেই প্রিয় মানুষটির সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মিলা। যেখানে প্রেমের বয়স ছিল ১০ বছর আর সংসারের বয়স মাত্র পাঁচ মাস। অর্ধ বছর পূর্ণ হবার আগেই মিলা ও পারভেজের সংসারে বিচ্ছেদের।  

গত ৭ অক্টোবর নিজের ফেসবুক পেজে ডিভোর্সের ঘোষণা দেন এই পপতারকা। স্বামীর পরকীয় ও শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের কারণেই তিনি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সেখানে জানান।

এত গেল পুরাতন কথা। কিন্তু মিলা-পারভেজের বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনাটি যখন ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তখন থেকেই শুরু হয় আরেক নতুন ইস্যু। ফেসবুকে অনেকেই মিলার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। মিলার চরিত্র নিয়েও অনেকে মিথ্যা কথা বলছেন বলে জানালেন মিলার কাছের মানুষেরা। আর এসব মিথ্যাচারের জবাব দিতে মিলার দুটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে ফেসবুকে। ছবি দুটির একটিতে দেখা যায় মিলার কপালে সিগারেটের আগুনের দাগ, আর অন্য ছবিটিতে দেখা যায় মিলার বাম হাতটা ব্যান্ডেজ করা আছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল চ্যানেল নাইনের অনুষ্ঠান প্রধান তানভীর খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া একজন নির্মাতা কীভাবে মিলার বিরুদ্ধে এসব কথা বলতে পারে আমি জানি না। সবাই মিলার জন্য দোয়া করবেন। আমি চাই মিলা সঠিক বিচার পাক।’

একই প্রসঙ্গে সংগীতশিল্পী জুয়েল মোর্শেদ বলেন, ‘ঐ ছেলের বন্ধু বান্ধবরা মিলা’র ব্যাপারে নেগেটিভ প্রমোশন করে ঐ ছেলের প্রতি একটা পাবলিক ইমোশন গ্যাদার এর চেষ্টা করছে। আর এদিক দিয়ে মিডিয়ার মানুষরা একটা মুভমেন্ট এ যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলা দরকার।’ মিলা যেন সঠিক বিচার পায় এমনটাই প্রত্যাশা করেন সঙ্গীতাঙ্গনের মানুষেরা। আর মিলার নামে মিথ্যাচার প্রচার না করার অনুরোধ করেন তারা।

বলে রাখা ভালো, স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ৫ অক্টোবর রাতে মিলা বাদী হয়ে উত্তরা (পশ্চিম) থানায় মারধর ও যৌতুকের অভিযোগে তার স্বামী পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা করেন মিলা। মামলার নম্বর ৪ (১০) ২০১৭। নারী নির্যাতন দমন আইনে ১১ (খ) ও ১১ (গ) এবং ৫০৬ ধারায় মামলাটি হয়েছে। মিলার দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের পর পর্যায়ক্রমে কয়েকবার এ ধরনের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতেই পারভেজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।