ভবন ভাঙতে সময় পেল বিজিএমই
সময় শেষ হওয়ার আগেই গত ২৩ আগস্ট বিজিএমইএ কার্যালয় স্থানান্তরের জন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে পুনরায় এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়েই রোববার আদেশ দিলেন আপিল বিভাগ।
প্রসঙ্গত, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অনুমোদন ছাড়া বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ বিষয় নিয়ে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের দৃষ্টিতে আনেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।
রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আগামী বছরের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এক বছর সময় চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ভবন ভাঙার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত ১২ মার্চ বিজিএমইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ছয় মাস সময় দেন, যা গত ১২ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। সময় শেষ হওয়ার আগেই গত ২৩ আগস্ট বিজিএমইএ কার্যালয় স্থানান্তরের জন্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে পুনরায় এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়
২০১০ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবনকে ‘একটি ক্যান্সার’ বলে আখ্যায়িত করেন। পাশাপাশি ৯০ দিনের মধ্যে ওই ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এর পর বিজিএমইএর করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগও ছয় মাসের মধ্যে ওই ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।