কুকুর দ্বীপের দেবতা হলেন পাকিস্তানি জেলেরা!
পাকিস্তানের করাচীর উপকূলীয় এক দ্বীপে অনেক বছর ধরে বাস করছে কিছু মালিকবিহীন কুকুর। যাদের কারণে দ্বীপের নাম হয়েছে ডগ আইল্যান্ড বা কুকুর দ্বীপ। দ্বীপটিতে কোনো জনবসতি নেই, খাবার নেই, সুপেয় পানি নেই। তারপরও উপকূলের কাছে দ্বীপটিতে দিনভর ঘুরে বেড়ানো এই কুকুরগুলো কিভাবে বেঁচে আছে?
সেখানে নিয়মিত মাছ ধরতে আসা জেলেরা কুকুরগুলোর দেখাশোনা করেন। দ্বীপে যদি মানুষের আনাগোনা টের পায় তখন খাবারের আশায় তাদের কাছে আসে কুকুরগুলো। কুকুরগুলো কিভাবে প্রথম এই দ্বীপে এসেছিলো, তার কোনো পরিষ্কার তথ্য নেই। তবে স্থানীয় জেলেদের ভাষ্য বেশ কয়েক দশক ধরেই এ দ্বীপে তারা কুকুরের দল ঘুরে বেড়াতে দেখছেন।
কেউ বলেন এগুলো বিদেশী নাবিকদের ছেড়ে দেয়া কুকুর। আবার কেউ কেউ বলেন শহর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্থান থেকে বেওয়ারিশ কুকুর ধরে এ দ্বীপে ফেলে যায় রাতের অন্ধকারে।
জেলেরা এই কুকুরদের খাবার দেয় কারণ তারা বিশ্বাস করে, সৃষ্টিকর্তা এ কাজের জন্য তাদের পুরষ্কৃত করবেন। ওদের খাওয়ালে তাদেরও খাবার ব্যবস্থা হবে। পাকিস্তানিদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বাস করেন কুকুর পরিচ্ছন্ন প্রাণী নয়, আর সে কারণে তাদের স্পর্শ করাও উচিত নয়। করাচী শহরে হাজার হাজার কুকুর বেওয়ারিশ রয়েছে, তাদের জন্য নেই কোন সুবিধা।
এই ডগ আইল্যান্ড বা কুকুরদ্বীপটিতে ঘরবসতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকলেও জমির মালিক ও পরিবেশবাদীদের মধ্যে বিরোধ চলছে। আর সেকারণে এখনও কুকুরগুলো এ দ্বীপের অধিবাসী।