বিমানবন্দর থেকে গণভবন, রাস্তায় থাকবে আ. লীগ নেতাকর্মীরা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিতে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন পর্যন্ত রাস্তার পাশে দাঁড়াবেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ও মিয়ানমারে তাদের উপর নিপীড়ন বন্ধের বিষয়ে জাতিসংঘে বক্তব্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে লন্ডন থেকে ফ্লাইটে করে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন থেকে ফ্লাইটে করে ঢাকায় ফিরবেন। তাকে সংবর্ধনা জানাতে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুপাশে অবস্থান নেবেন বলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ জানিয়েছেন। নেতাকর্মীরা যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেজন্য পুরো রাস্তাকে আট ভাগে ভাগ করে সংসদ সদস্যদের অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলোও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানাতে শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ও বিশিষ্টজনরা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে থাকবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দেওয়ার পর তিনি ভিআইপি রোড (কুড়িল বিশ্বরোড-বনানী-মহাখালী-জাহাঙ্গীর গেট-বিজয়সরণী-গণভবন) দিয়ে যাবেন। সংবর্ধনা সফল করতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তায় কয়েকটি ভাগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা রাস্তার দুপাশে থাকবেন।

তবে কোনো ধরনের জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করেই এই সংবর্ধনা দেওয়া হবে’ বলে আগেই আশ্বস্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ‘বিচক্ষণ নেতৃত্বের’ স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্যা আর্থ’ এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) পুরস্কার লাভ করায় প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ।

১৪ দলের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা খিলক্ষেত থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের পাশে থাকবেন। আওয়ামী লীগের একেএম রহমত উল্লাহ ও সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তাদের সঙ্গে থাকবেন। আওয়ামী লীগের সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও সানজিদা খানমের নেতৃত্বে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে রেডিসন হোটেল এবং কামাল আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বে রেডিসন হোটেল থেকে কাকলি মোড় পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবেন নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা থাকবেন কাকলি মোড় থেকে জাহাঙ্গীর গেইট পর্যন্ত সড়কে। জাহাঙ্গীর গেইট থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, কামরুল ইসলাম ও হাজী মো. সেলিম এবং বিজয় সরণি থেকে গণভবন পর্যন্ত ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অবস্থান নেবেন। এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্পটে দাঁড়াবেন বলে আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম জানান।