শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি তহবিল
শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনঃআবেদনের সুযোগ। বুধবার এই তহবিলের ঋণ বিতরণ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকের পরে এই তথ্য জানান বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও এ কমিটির প্রধান সাইফুর রহমান।
তিনি বলেন, শেয়াবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে তহবিল গঠন করা হয়েছে; তার মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর এই তহবিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সাইফুর রহমান জানান, এই তহবিলের ঋণে সুদহার কমানোরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সুদ নির্ধারিত থাকলে নতুন করে ৬ শতাংশ সুদহারের যে প্রস্তাব সুপারিশ করা হয়েছিল তা মেনে নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এখন এই তহবিল থেকে কেউ ঋণ নিলে তাকে ৬ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। সুদহার কমবে যে টাকা এখনও ছাড় হয়নি তার জন্য।
শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের ঋণ পেতে দ্বিতীয়বারের জন্য আবেদন করতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। সেই সঙ্গে কমানো হয়েছে সুদহারও। এ সুযোগ দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার যে তহবিল গঠন করেছে তার থেকে যারা ইতোমধ্যে ঋণ নিয়েছেন এবং পরিশোধ করেছে তারা চাইলে আবারও আবেদন করতে পারবে। আমাদের কমিটি বিষয়টি বিবেচনা করবে বলেও তিনি জানান। এছাড়া এই তহবিল থেকে ঋণ পেতে আবেদন করার সময়ও বেড়েছে। আগে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময় থাকলেও সেটি বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ, ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধসের পরিপ্রেক্ষিতে মার্জিন ঋণ গ্রহীতা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্য সকারের পক্ষ থেকে ৯০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ঘোষণা করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের মাঝে ৬৪২ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। আর সুদসহ আদায় হয়েছে ৬৮৬ কোটি টাকা।