ফরিদপুরে ধর্ষণের চার মাস পর ধর্ষিতাকে কুঁপিয়ে হত্যার চেষ্টা!
ফরিদপুরের সালথায় মামলা প্রত্যাহার না করায় ধর্ষণের চার মাস পর এক কিশোরী (১৭) কে কুঁপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে। আহত কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে টার দিকে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আহত কিশোরীর বাবা হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ মে রাতে আমার মেয়েকে বাড়ির পাশে একটি বাগানের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ১৬ মে ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলা করার পর থেকে আসামীরা আমাকে বিভিন্নভাবে মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ মামলা তুলে না নেওয়ায় শনিবার রাতে আমার বাড়িতে এসে মামলার প্রধান আসামী দিপু মোল্যা তার সহযোগী মাহফুজ মিয়া, মারকুজ মিয়া, ফারুক মিয়া ও মিলন মিয়া (মিনু) সহ ১৫-১৬ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার কিশোরী মেয়েকে এলাপাথাড়ী কুঁপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়দের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়। কিশোরী মেয়েটির মাথা, হাত ও পিঠে অন্তত ১০ টি মারাত্মক কোঁপের চিহ্ন রয়েছে।
ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার এসআই লিয়াকত হোসেন বলেন, ধর্ষণ মামলাটির তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়। এরমধ্যে আসামীরা ধর্ষিতাকে কুঁপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. মহিউদ্দীন স্যারও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মামলার এক আসামী মিন্টু মোল্যাকে কয়েক দিন গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান হয়। তিনি এখনো হাজতে রয়েছে। বাকি আসামীরা পালাতক থাকায় তাদের ধরা সম্ভব হয়নি।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম আমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা।
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি