থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হচ্ছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল

থাইল্যান্ড থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের একটি চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ১৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩৮ ডলার।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ক্রয় কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকের পর খাদ্য সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২ লাখ মেট্রিক টন দেশে এসেছে। দেড়লাখ মেট্রিক টন পথে আছে। বাকি চাল নভেম্বর মাসের মধ্যে চলে আসবে।

এদিকে চালের বাজারের অস্থিরতা কমছে না। গত এক মাসে মাঝারি মানের চালের দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ থেকে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ। মোটা ও সরু চালের দাম বেড়েছে ১৮ শতাংশের বেশি। সরকারের বিপনন সংস্থা টিসিবি’র হিসাবেই দাম বাড়ার এ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

বর্তমানে রাজধানীর খুচরাবাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ( ইরি, গুটি স্বর্ণা) ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, বিআর-আটাশ ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৪ ও নাজিরশাইল ৬৮ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে, গত মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আগামী কয়েকদিনে মধ্যে চালের দাম প্রতি কেজিতে ২/৩ টাকা কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চালের দাম কমানোর আশ্বাস দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে কিছু শর্তও দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা দাবি জানান, চালের আমদানি ও পরিবহনে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করতে দিতে হবে। এছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে চালবাহী ট্রাকগুলো যেন দ্রুত আসতে পারে সেই ব্যবস্থা করারও দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।