চাল বিক্রিতে চাপ দিলে হবে না: মিল মালিক সমিতি
চালের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হয় তাহলে সরকার ও মিল মালিকদের যৌথভাবে কাজ করা উচিত। শনিবার বগুড়ায় সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় শেষে এক ব্রিফিং এ কথা জানানো হয়।
অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির নেতারা বলেছেন, ‘বেশি দামে ধান কিনে কমমূল্যে চাল বিক্রির চাপ দিলে হবে না। যদি চালের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হয় তাহলে সরকার ও মিল মালিকদের যৌথভাবে কাজ করা উচিত।’
শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রামে গুঞ্জন অটো রাইস মিলে দিনব্যাপী ওই সভায় সারাদেশ থেকে ১১০ জন চাল কল মালিক উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ওই সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ। সভাশেষে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আব্দুর রশিদ জানান, সভায় উপস্থিত মিল মালিকরা চালের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার ক্ষেত্রে সরকারি নানা পদক্ষেপের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মিল মালিকরা বলেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতে হলে সেটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে করতে হবে। শুধু ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কোনো অভিযান হতে পারে না। ওই অভিযানে খাদ্য কর্মকর্তা এবং মিল মালিকদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।আব্দুর রশিদ আরও বলেন, ‘এবার ধান বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ফলে কম দামে চাল বিক্রির জন্য চাপ দিলে হবে না। যদি চালের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হয় তাহলে সরকার ও মিল মালিকদের যৌথভাবে কাজ করা উচিত।’
যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বাজারে টানা তিন দিন চালের দাম বেড়েছে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের ক্রেতারা আরেক দফা বিপাকে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ধরনের চাল আগের দিনের চেয়ে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। তিন দিনে কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা। দাম বাড়তে বাড়তে মোটা চাল এখন ৫২ থেকে ৫৪ টাকা হয়েছে। মাঝারি মানের চালের দাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা ও সরু চালের দাম ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় পৌঁছেছে। সরকার বলছে, পাইকারি বা খুচরা বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। ব্যবসায়ীদের একটি চক্র পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেপরোয়াভাবে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ঈদের পর থেকে ধাপে ধাপে বৃদ্ধির কারণে এ অবস্থায় গিয়ে ঠেকেছে।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ওই বৈঠকে মালিকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার এবং মিল মালিকরা কিভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।’
তিনি জানান, সভায় রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মিল মালিকদের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা প্রদানেরও সিদ্ধান্ত হয়।