তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে সাত পরামর্শ

নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপনের যত চেষ্টাই করুন না কেন তা ব্যর্থ করতে আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেলই যথেষ্ট। ত্বক তো আর পরিবর্তন করা যাবে না তাই বেছে নিন দৈনিক কিছু পরিচর্যা যা অতিরিক্ত তেল থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।

বরফ : বাইরে বের হওয়ার আগে ত্বকে বরফ ঘষে নিন। তবে বরফ সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। বরফ সুতি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ত্বকে লাগান। নিয়মিত বরফ ঘষলে ত্বকের লোমকূপ হতে তেল নিঃসরণের মাত্রা কমে যায়।

লবণের স্প্রে : ভেতর থেকে ত্বকের তেল-ময়লা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে লবণের। তাই ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে এটা খুব কার্যকরী। একটি স্প্রে বোতলে ১ কাপ পানি নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লবণ গুলে নিন। এরপর এই লবণপানি মুখে স্প্রে করুন। বিশেষ করে যে স্থানটি বেশি তৈলাক্ত। খানিকক্ষণ রেখে দিন। এরপর টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। এভাবে প্রতিদিন করলে অনেকাংশে ত্বকের তৈলাক্ততা কমে আসবে।

শসা ও লেবুর রসের ব্যবহার : শশার রস তৈলাক্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে শশার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। শসা কেটে চিপে রস বের করে নিন। এরপর একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ শসার রস নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি একটি তুলোর বলের সাহায্যে পুরো ত্বকে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শসার রস ত্বকের নিচের তেল গ্রন্থি থেকে তেল বের করে তৈলাক্ততা দূর করে। লেবুর রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করায় ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের মাস্ক : এই মাস্কটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার জন্য অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটা খুবই সহজ একটি মাস্ক কিন্তু অনেক বেশি কার্যকরী। প্রথমে ২ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি নিন, এবার মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে পরিমাণ মত গোলাপজল নিন। গোলাপজল অল্প করে দেবেন। পেস্টটি যাতে বেশি পাতলা না হয়ে যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। এরপর এই পেস্টটি একটি ব্রাশের সাহায্যে ভাল করে মুখে লাগান। চাইলে হাত দিয়েও লাগাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন।

মধুর স্ক্রাব ব্যবহার করুন : স্ক্রাব ব্যবহারের জন্য গোলাপজলের সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। যাদের মধুতে অ্যালার্জি নেই, তারা সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন এই মিশ্রণে। সপ্তাহে দুই দিন এই প্যাক ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হবে। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস দূর হয়ে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে, ব্রণ থাকলে স্ক্রাব করা যাবে না।