সিরাজদিখান উদ্ধারকৃত গরু নিয়ে বিপাকে পরেছে থানা পুলিশ

সিরাজদিখানে উদ্ধারকৃত চোরাই গরু নিয়ে বিপাকে পরেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। গরুগুলো উদ্ধার করার পর থেকে গরুগুলোকে খাওয়ানো ও পাহারার কাজে নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। প্রকৃত মালিক খুঁজে না পাওয়ায় গরুগুলো নিয়ে বিপাকে পরেছে থানা পুলিশ।

প্রতিদিন ৩ বেলা ২১ টা গরুর খাওয়ানো, দেখাবাল করাসহ উদ্ধারকৃত গরু চুরি হওয়ার ভয় কাজ করছে পুলিশের। তাই গরুকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছে থানা পুলিশ। একদিকে যেমন রাতে গরু পাহারা দিতে হচ্ছে অন্যদিকে উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশকে ব্যগ পেতে হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, আমরা ২৪ ঘন্টা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকি তার উপর গরুর দায়িত্ব আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কোনো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে গরুগুলো চুরি করে আনা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চরের গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনটি বাড়ি থেকে ২১টি গরু উদ্ধার করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। এখন পর্যন্ত গরুর মালিকরা থানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসেনি। মালিকরা আসলেই গরুগুলোর একটা উপায় হবে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, গরু নিয়ে মহাবিপদে আছি। উদ্ধার করা গরুর খাওয়া ও পাহারা নিয়ে থানা পুলিশের কয়েক সদস্যকে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। এক কথায় হিমশিম খাচ্ছি। এতে থানার স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটছে।

উল্লেখ্য গত সোমবার দিবাগত রাতে চরেরগয়ের গ্রামবাসীর সংবাদের ভিক্তিতে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চরের গাও গ্রামের মালেক (৫৫) মহিউদ্দিন (৪৮) তৈয়ব আলী (৪৬)মহিন উদ্দিন (৪২) নামের চারজনের বাড়ি থেকে ২১ গরু উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মঙ্গলবার ভোর সকালে গরু ফেলে রেখে ঘড়বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি