রাম রহিমের ডেরায় মিলল গর্ভপাতের প্রমাণ

আগেই রকস্টার ‘বাবা’ গুরমিত রাম রহিমের ডেরায় অত্যাধুনিক হাসপাতালের খোঁজ মিলেছিল। প্রত্যাশিত ভাবে যে হাসপাতালের প্রধান রাম রহিম নিজেই। এ বার সেই হাসপাতালে দেদার গর্ভপাতের প্রমাণ মিলল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ডেরার মধ্যে এক হাসপাতালে অবাধে চলত গর্ভপাত।

পাঞ্জাব পুলিশ এ বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই হাসপাতালে গর্ভপাত করানোর জন্য সরকারি অনুমতির অপেক্ষা করা হত না। যে সব মহিলার গর্ভপাত করানো হয়েছে, তাঁদের পর্যাপ্ত নথি মেলেনি হাসপাতাল থেকে। মঙ্গলবার হরিয়ানার জনসংযোগ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সতীশ মেহেরা ডিএনএ-কে জানান, ডেরার হাসপাতালে বেআইনি গর্ভপাতের বিষয়টি নিয়ে আলাদা করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক কর্তাদের। প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া নমুনাগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক এ কে এস পওয়ার। তাঁকে এই মামলায় কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।

প্রায় ৬০০ একর জায়গা জুড়ে থাকা বাবার আশ্রমে হানা দিয়ে এই ঘটনার একাধিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছে প্রশাসন। প্রায় ৩০-৪০ জন সাধ্বী যে বাবার যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন, তা জানা গিয়েছিল আগেই। বিলাসের জন্য জলের তলায় সেক্স কেভ বানিয়েছিল রাম রহিম। সেখান থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর গর্ভনিরোধক ও কন্ডোম। এ অবস্থায় অবৈধ গর্ভপাতের মতো ঘটনা সামনে আসার পরেও অবাক হচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। শাহ সতনম জি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রেকর্ড বুকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়েছে। ডেপুটি কমিশনার প্রভোজৎ সিং এই অসঙ্গতির কথা জানিয়েছেন।