মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বাড়াবে আমেরিকা

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর দমন পীড়ন এবং জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের বিরুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওয়াশিংটন মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক বাড়ানোর পরিকল্পণা করছে বলে একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে।

মার্কিন সিনেট আগামী সপ্তাহে প্রতিরক্ষা ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিলে ভোট দেবে বলে অ্যাসোসিয়েটড প্রেস বা এপি আজ (শনিবার) জানিয়েছে। বিলটি পাস হলে মিয়নামারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে পারবে পেন্টাগন।

এদিকে, খসড়া বিলের আওতায় সমুদ্রে নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি শান্তিরক্ষা এবং মানব পাচার রোধে দুই দেশের সামরিক বাহিনী নানা প্রশিক্ষণ এবং ওয়ার্কশপে অংশ নেয়ার কথা বলা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে। অবশ্য মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিস কমিটির প্রধান রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইনকে বিলের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তা তিনি এড়িয়ে যান।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যার ইস্যুতে দেশটির নেতা অং সাং সু চির বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে আমেরিকা ব্যর্থ হওয়ায় আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষ থেকে নিন্দার ঝড় বইছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ অঞ্চলে চীনকে ঠেকানোর নামে ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মিয়ানমানের বিরুদ্ধে আমেরিকা এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইছে না যাতে মিয়ানমার সরকার এবং প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের টানাপড়েনের সৃষ্টি হয়।