মিয়ানমারকে চাপ দিতে ইতিবাচক সাড়া নেই ইন্দোনেশিয়ার
জানা গেছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রীর কাছে আসিয়ান জোটের ফোরামে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরির অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাথে বৈঠকের পর ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, শরণার্থী ইস্যুতে বাংলাদেশের জন্য যে চাপ তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়া সহমর্মী। মন্ত্রী বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বলেছি এই শরণার্থীর ভার লাঘব করার জন্য সাহায্য করতে আমরা তৈরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সম্মতি দিয়েছেন।”
তিনি জানান, কি ধরণের সহযোগিতা দরকার তার নিয়ে পরে আলোচনা হবে। “এই মানবিক সংকটের অবশ্যই নিরসন হতে হবে। এবং এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য ইন্দোনেশিয়া প্রস্তুত।” ওদিকে চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে তার প্রথম বিবৃতিতে, শেখ হাসিনা আজ বলেছেন শরণার্থীর স্রোত বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরি করেছে। শরণার্থী আসা ঠেকানো এবং ঢুকে পড়া শরণার্থীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তবে মিয়ানমারের ওপর চাপ তৈরির যে চেষ্টা বাংলাদেশ করছে, সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি মিজ মারসুদি। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তরও তিনি দেননি। বাংলাদেশ আসার আগে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের তিনি জানিয়েছেন, তিনি মিয়ানমার সেনা প্রধানের সাথে বৈঠক করে রাখাইনে বেসামরিক লোকজনের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, রাখাইনে ত্রাণ পাঠানোর একটি প্রস্তাবে রাজী হয়েছে মিয়ানমার সরকার।