কূটনৈতিক ছদ্মাবরণে দায়েশকে অস্ত্র দিচ্ছে সৌদি ও আমিরাত

সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএই কূটনৈতিক ছদ্মাবরণসহ নানা পস্থায় সিরিয়া এবং ইরাকের সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে। বুলগেরিয়ার অনুসন্ধানী সাংবাদিক দিলয়ানা গেতানদজিয়েভের প্রতিবেদনে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

পূর্ব ইউরোপে তৈরি এ সব অস্ত্র পাচারের জন্য আজারবাইজানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা সিল্ক ওয়ে এয়ারলাইন্সকে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, সৌদি আরব, ইউএই এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীসহ আরো অনেক দেশ অস্ত্র পাচারের জন্য এ বিমান সংস্থাকে ব্যবহার করেছে। পাচার করা অস্ত্র শেষ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের তাকফিরি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী দায়েশ, কুর্দি গেরিলা গোষ্ঠী এবং আফ্রিকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে পড়েছে।

বুলগেরিয়ার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র ট্রুডে প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়েছে, গত তিন বছরে বিশ্বের যুদ্ধ এবং গোলযোগপূর্ণ এলাকায় অস্ত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য সিল্ক ওয়ে এয়ারলাইন্সের অন্তত সাড়ে তিনশ কূটনৈতিক ফ্লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। কূটনৈতিক ফ্লাইটের ছদ্মাবরণে হাজার হাজার টন ভারি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সন্ত্রাসীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে সিল্ক ওয়ে। এতে আরো বলা হয়েছে, পূর্ব ইউরোপ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র কিনে সৌদি আরব তা রফতানি করেছে কূটনৈতিক ফ্লাইটের ছদ্মাবরণে। ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে এ ভাবে বুলগেরিয়া, সার্বিয়া এবং আজারবাইজান থেকে অস্ত্র গেছে জেদ্দা ও রিয়াদে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের জন্য এ সব অস্ত্র কিনেনি সৌদি আরব। সৌদি সেনাবাহিনী কেবলমাত্র পাশ্চাত্যের অস্ত্র ব্যবহার করে এবং দেশটির সামরিক মানের সঙ্গে এসব অস্ত্র মোটেও খাপ খায় না। ফলে এসব অস্ত্র শেষপর্যন্ত সিরিয়া এবং ইয়েমেনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে পড়েছে। এসব গোষ্ঠী আনুষ্ঠানিক ভাবেই সৌদি সমর্থন পেয়ে আসছে।

ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এতে আরো বলা হয়েছে, কূটনৈতিক ফ্লাইটের ছদ্মাবরণে পাঠান এমন একটি কার্গোতে এসপিজি-৯ এবং জিপি-২৫ গ্রেনেডসহ ট্যাংক বিধ্বংসী গ্রেনেড এবং মর্টার ছিল। একমাস আগে এ সব অস্ত্রের খোঁজ মিলেছে মসুলে দায়েশের একটি অস্ত্র গুদামে।