‘মনোবল হারাবেন না, সব সময় আপনাদের পাশে আছি’

বন্যাদুর্গত এলাকায় প্রত্যেক মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগাম বন্যার খবর সরকার জেনেছে। খাদ্যের অভাব যাতে না হয়, এ জন্য আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একটি মানুষও যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সেটাই সরকারের লক্ষ্য।

আজ শনিবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের ঈদগাহ মাঠে বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুর্গত মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন। বন্যাদুর্গত ব্যক্তিদের মনোবল না হারানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জানবেন, সব সময় আপনাদের পাশে আছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের সেবা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সরকারে থাকি আর বিরোধী দলে থাকি, মানুষের বিপদে সব সময় আওয়ামী লীগ পাশে দাঁড়িয়েছে।’ বন্যায় যেসব স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো মেরামত করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। যেসব শিক্ষার্থীর বইখাতা নষ্ট হয়েছে, তাদের আবার নতুন বইখাতা বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বন্যায় রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করছেন। শিগগিরই বন্যাদুর্গত এলাকায় রাস্তাঘাট ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত করা হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারে, তারা এ দেশের কল্যাণ করতে পারে না। ধ্বংস করতে পারে। তিনি বলেন, ‘গতবারের নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। তারা গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জে তাণ্ডব চালিয়েছে। এমপি লিটনকে হত্যা করেছে। আমরা রাস্তা বানাই, তারা নষ্ট করে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল হক জানান, বক্তব্য দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী তিন হাজার লোকের প্রত্যেককে ৩০ কেজি শুকনা খাবার ও ৯০ জনের মধ্যে আমন ধানের চারা বিতরণ করেন। এরপর তিনি স্থানীয় নেতা ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সেখানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।