রক্ত ঝরলেও বিশেষ মর্যাদা রক্ষা করবে কাশ্মিরিরা
জম্মু-কাশ্মির থেকে সংবিধানের ৩৫-এ ধারা বাতিলের চেষ্টার প্রতিবাদে আগামী ২৯ আগস্ট বিক্ষোভ সভার ডাক দিলেন কাশ্মিরি নেতারা। ৩৫-এ ধারা অনুসারে রাজ্যটি বিশেষ মর্যাদা ও সুবিধা ভোগ করে। যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্ব সাইয়্যেদ আলী শাহ গিলানি, মীরওয়াইজ ওমর ফারুক এবং মুহাম্মদ ইয়াসীন মালিকের পক্ষ থেকে ওই বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়েছে। তারা বলেছেন, এটা তাদের জীবন ও মৃত্যুর ব্যাপার এবং এটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনে তারা রক্ত ঝরাবেন।
৩৫-এ ধারা ইস্যুতে আগামী ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে প্রতিরোধ আন্দোলন নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে ৫ দিনের প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার কাশ্মির ‘বার এসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
একইদিনে ‘জেলা বার এসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিবাদ জানানো হবে। শনিবার সমস্ত সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী সংগঠন, ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্থার পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভ হবে। একইভাবে রোববার ও সোমবারও বিভিন্ন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতের পক্ষ থেকে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় ওইদিন সম্পূর্ণ বনধ পালিত হবে।
যৌথ প্রতিরোধ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারিতে বলা হয়েছে, আদালত যদি ওই ইস্যুতে কোনো প্রতিকুল আদেশ দেয় তাহলে সেই মুহূর্ত থেকে সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু হবে। একটি জীবন্ত জাতি হিসেবে কাশ্মিরিরা জানে যে, তাদের মর্যাদা কীভাবে রক্ষা করতে হয়। এ ব্যাপারে তারা সরকারের সমস্ত প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তারা। এদিকে, আজ ৩৫-এ ধারা ইস্যুতে কাশ্মির ট্রেডার্স ম্যানুফ্যাকচারার্স ফেডারেশন (কেটিএমএফ) এবং কাশ্মির ইকনোমিক অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত বনধকে সমর্থন করা হয়েছে।
কেটিএমএফ-এর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ইয়াসিন খান বলেছেন, তারা জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা রক্ষার্থে বুলেটের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি ৩৫-এ ধারা বিলোপ করে তাহলে সর্বাত্মক লড়াই হবে। এটা তাদের জন্য জীবন ও মৃত্যুর বিষয় বলেও ইয়াসিন খান মন্তব্য করেন।
মুহাম্মদ ইয়াসিন খান কাশ্মির ইকনোমিক অ্যালায়েন্সেরও চেয়ারম্যান। তিনি রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা রক্ষার্থে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মানুষজন জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।