মুন্সীগঞ্জের দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটা তাজা করণে ব্যাস্ত খামারীরা

আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের গরুর খামারীরা। দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটা তাজা করণে ব্যাস্ত সময় পার করছে জেলার অসংখ্য খামারী। দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদী পশুর মোটা তাজা করণ করায় কোরবানির হাটে চাহিদাও থাকে অনেক বেশী। তাই বরাবরের মতো এবারও খামারীরা বলছে এবার ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ থাকলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মুন্সীরহাট, পসার ও মিরকাদিম পৌরসভা এলাকার বেশ কয়েকটি গরুর খামারে গিয়ে দেখা যায়, পরম যত্নে গরুগুলো দেখাশুনা করছেন খামরীরা। তারা গরুর সুঠাম দেহ আর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন। তার কারণ হিসাবে খামারীরা বলেন, গরু দেখতে যতো আকর্ষনীয় হবে, তার দাম হবে তত বেশী। তাই গরুর খাদ্য তালিকা বেশ সমৃদ্ধ। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটা তাজা করছে।

মিরকাদিম পৌর এলাকার বাসিন্ধারা বলছেন, এ এলাকার বেশির ভাগ খামরীরা দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদী পশু মোটা তাজা করছেন। ইনজেকশন ও মোটা তাজা করণে ট্যাবলেট পরিহার করে ঘাস খড়ের পাশাপাশি কৈল গুড়া, ভূষি খাদ্য হিসাবে খায়োনো হচ্ছে। আর বেশির ভাগ খামারে রয়েছে দেশীয় গরু। বাজারে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ছোট বড় খামারের পাশাপাশি প্রতিটি কৃষক পরিবারে ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটা তাজা করেছে। কৃষক পরিবারের যারা গরু লালন পালন করেন তারাও দেশীয় পদ্ধতিতে মোটা তাজা করে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।

মুন্সীগঞ্জে সদর উপজেলার খামারী জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে আমার খামারে ৫০টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি গরু আসন্ন কোরবানির হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে যত্ন নেওয়া হচ্ছে। ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই এখন থেকে গরুর বেশি যত্ন নিচ্ছি। যাতে ভালো দামে বিক্র করতে পারি।

স্থানীয় খামারীরা বলেন, গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার কুরবানির হাটে দেশী গরুর দাম তুলনামূলক বৃদ্ধি পাবে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গরু মোটা তাজা করণে ডেকাসন, পিকটিম জাতীয় এ ধরনের ঔষধ ব্যবহার করছেন বেশি লাভের আশায়।

খামারী জালাল হোসেন জানান, গরুর পেছনে দৈনিক তিন’শ টাকা খরচ লাগে। আগে যেভাবে ঈদকে সামনে রেখে গরুর খামারগুলোতে গবাদী পশু লালন পালনে প্রতিযোগতিা শুরু হতো তা এখন আর নেই। অনেকেই গরু লালন পালনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই পেশা ছেড়ে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তাছাড়া আগের মতো গরু লালন পালন করার জন্য রাখালও পাওয়া যাচ্ছেনা।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক শেখ জানান, খামারী ও কৃষকরা যাতে বিষাক্ত কোন রাসানিক ব্যবহার না করে তাই তাদের নানা রকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে । পাশাপাশি তাদের গরুর সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্যে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি