ওজন বৃদ্ধিকারী মনে হলেও এমন অনেক খাবার আছে যা ওজন কমাতে সহায়ক। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, পরিমিতিবোধ ও শরীরটা সচল রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

আসুন জেনে নেয়া যাক কোন খাবারগুলো ওজন কমাতে সহায়ক ঃ

১. নাশপাতি
নাশপাতি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। এটি আপনার কোষের চর্বি শোষণের পরিমাণও কমায়।

২. শাক
শাক সবজি স্বাস্থ্যকর আমরা সবাই জানি। আর বেশি ভালো তখনই যদি সেটা হয় পালং শাক। স্যালাড, স্যুপ, ভাজি, সেদ্ধ যে ভাবে খুশি খেয়ে নিন তাজা পালং শাক।

৩. মিষ্টি আলু
দেহের গ্লিসারিনের একটি ভাল উৎস হতে পারে মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলু খেলে দেহের চিনির চাহিদা পুরণ হবে কোন অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত হওয়া ছাড়াই। সেই সাথে দেহের জন্য ফাইবার তো থাকছেই।

৪. বিট
বিট ফাইবার ও চিনির সাথে দেহের ক্ষুধা প্রতিহত করতে পারে। আপনার হৃদয়টিকে সুস্থ রাখতেও ভীষণ উপকারি। সালাদে কিংবা জুস খেয়ে নিলেই হল।

৫. ডিম
অনেকেই মনে করবেন এতে ওজন বাড়ে। কিন্তু বাস্তবে পরিমিত খেলে ওজন বাড়বে না বরং কমবে। কারণ সকালে খাওয়ার সঙ্গে ডিম ক্ষুধা নিবারণ করবে। ডিম প্রোটিনের ভাল উৎস,অন্যদিকে একটি মাঝারি আকারের ডিমে মাত্র ৭০ ক্যালরি রয়েছে। ডিমে চর্বি কমানোর অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা রক্তের শর্করার মাত্রা স্থির এবং পেশীর টিস্যুর সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৬. মাছ
মাছ ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস। হৃদয়ের খাদ্য হিসেবেও মাছের সুনাম আছে। মাছ খেলে পেশীর চর্বি বার্ণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৭. ওটস
কুকিজ কিংবা সিরিয়াল আকারে ওটস একটি অনন্য নাশতা হতে পারে। এটা উচ্চ ফাইবার যুক্ত এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনাকে ক্ষিদে থেকে দূরে রাখবে। দেহের পুষ্টি শোষণেও সাহায্য করে।

৮. পনির
কম চর্বির ঘরে বানানো পনির প্রোটিনের জন্য চমৎকার। এটি ক্যালসিয়ামেরও একটি ভাল উৎস। যা আপনার চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।

৯. কমলা
কমলা মানেই ভিটামিন C। কমলা শীতকালীন ফ্লু দূরে রাখতে কার্যকরী রাখা তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

১০. ব্রকলি
ব্রকলি ভিটামিন A ও C এবং ক্যালসিয়ামের একটি বিরাট উৎস। গমের আটা যেমন, পাস্তার সাথে যোগ করে মজাদার কম ক্যালরির একটি চমৎকার খাবার বানান যায় সহজেই।

অর্থাৎ সব খাবারই পরিমিত খেতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এতে শরীরের ওজন যেমন কমবে তেমন স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।