যাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই, তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেবঃ প্রধানমন্ত্রী

বন্যার্ত প্রতিটি মানুষের কাছেই ত্রাণ পৌঁছে যাবে আশ্বাস দিয়ে সরকারের প্রতি ভরসা রাখার অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার বন্যা দুর্গত দিনাজপুর সদর ও বিরল উপজেলা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

কেবল ত্রাণ নয়, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পানিতে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে। আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, যেমন সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, এলজিইডি, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়-প্রত্যেকে তৈরি হয়ে আছে এই পানি নেমে গেলেই রাস্তা মেরামতের কাজ আমরা শুরু করে দেব।’

আমরা যা যা করা দরকার, তা করবঃ প্রধানমন্ত্রী

‘কৃষক ভাইয়েরা যাদের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে তারা যেন পুনরায় কৃষি ঋণ পেতে পারে, বীজ ও বীজতলার ব্যবস্থা করতে পারে, সে উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। প্রায় দুই কোটি কৃষক বিশেষ উপকরণ কার্ড পেয়ে থাকে, এক কোটি কৃষক ১০ টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে, এ ক্ষেত্রেও যা যা করণীয় আমরা তা করব।’ বানভাসী মানুষদের কাছ থেকে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায়ে যেন ‘জুলুম’ করা না হয় সে নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।

আমরা যা যা করা দরকার, তা করবঃ প্রধানমন্ত্রী

১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ আবার শুরু হবে বলেও জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব এলাকায় বন্যা হয়েছে সেসব এলাকায় চিকিৎসা সেবা, ওষুধপত্র যাতে সকলে পান, তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে এবং তা দেয়া হবে।’ যাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই অথবা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদেরকে প্রয়োজনে খাস জমি অথবা কিনে হলেও জমি দেয়ার কথা জানান শেখ হাসিনা। বলেন, ‘যাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই, তাদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। পরে প্রধানমন্ত্রী বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।

দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দুপুরের নামাজ ও খাওয়া শেষ করে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন।