চাল ও গম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ

প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন চাল উদৎপাদন কম হওয়ায় আগাম সতর্কতা হিসেবে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৫ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।  আজ বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।  

 তিনি আরও বলেন,  ‘দেশে খাদ্য সংকট নেই।  বর্তমানে চালের দামও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। আমরা এবার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবছর হাওড় অঞ্চলে অকাল বন্যায় ইরি-বোরো নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন চাল উদৎপাদন কম হয়েছে। এই চাল উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিল ১ কোটি ৯১ লাখ মেট্রিক টন বলে তিনি জানান। এদিকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই চালের আমদানি শুল্ক কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শুল্ক কমানোর ফলে আশেপাশের দেশ থেকে ব্যবসায়ীরাও কম মূল্যে চাল আমদানি করতে পারবেন। এরফলে বাজারে চালের দামও কমবে। প্রথমে চাল আমদানির শুল্ক ছিল ২৮ শতাংশ। পরবর্তিতে চালের দাম বাড়লে এবং ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাল-আমদানি শুল্ক ১৮ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। আজ আরও আট শতাংশ শুল্ক কমানোর সরকারী সিদ্ধান্তের পর এখন চালের আমদানি শুল্ক দাঁড়ালো ২ শতাংশে।

খাদ্যমন্ত্রী জানান, ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিকটন চাল আসবে। এরমধ্যে ইতোমধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিকটন চাল দেশে এসেছে। বাকি চাল এ মাসের মধ্যেই আসবে। এছাড়া কম্বোডিয়া থেকে আরো আড়াই লাখ মেট্রিকটন চাল আনা হবে। পারসেস কমিটিতে অনুমোদন হলেই কম্বোডিয়া থেকে চাল আমদানির আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এডভোকেট কামরুল বলেন, খাদ্য বিতরণ নিয়ে সবধরনের কর্মসূচি চলমান আছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এই কর্মসূচি আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে।