ফরিদপুরে বন্যার কবলে আঠারো’শ পরিবার, ঝুঁকিতে ৩০০ দোকান ঘর

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নে ভাঙ্গনের তীব্রতা কমেছে, কিন্তু ভাঙ্গনের তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে গাজিরটেক ইউনিয়নের হাজিগঞ্জ বাজার। পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। চার ইউনিয়নে প্রায় ৮৫০ পরিবার পানিতে নিমজ্জিত ও ৯০০ পরিবার পানি বন্দী রয়েছে।

গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইয়াকুব আলী জানান, গত কয়েকদিনের পানি বৃদ্ধির কারণে দশ গ্রামের প্রায় ২০০ বাড়ী পানিতে নিমজ্জিত ও পানিবন্দী রয়েছে ৩০০ পরিবার। এ ছাড়া তীব্র পানির স্র্রোতের মুখে রয়েছে হাজিগঞ্জ বাজার। ভাঙ্গনের কবলে পরলে যে কোন মূহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে প্রায় ৩০০ দোকান ঘরসহ হাজিগঞ্জ বাজার।

হরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীর হোসেন জানান, তাঁর ইউনিয়নের চারটি গ্রামের ২০০ পরিবার পানি বন্দী রয়েছে ও ১৫০ পরিবার পানিতে নিমজ্জিত রযেছে। পানির তীব্রতা বাড়লে প্রায় ২০০০ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পরবে। এছাড়া দুটি কালভার্টসহ কাচাঁ পাকা ১০ টি রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খাঁন জানান, আট গ্রামের ২০০ পরিবার পানিতে নিমজ্জিত ও ২৫০ পরিবার পানি বন্দী রয়েছে। তিনি আরও জানান বেড়ী বাঁধের বাইরে থাকা মানুষ খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছে। চর ঝাউকান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফরহাদ হোসেন জানান, তাঁর ইনিয়নের ৭ গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার পানিতে নিমজ্জিত ও ১৫০ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। চার ইউনিয়নে বন্যা কবলিতদের চুড়ান্ত তালিকা তৈরীর কাজ চলছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানোস বোস।

উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো: সগীর হোসেন বলেন, “নদী বেষ্টিত চরভদ্রসনে সব থেকে জরুরী নদী রক্ষা বাঁধ। আমরা প্রশাসনের পক্ষ হতে বন্যার্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।” তিনি জানান, আজ চর ঝাউকান্ধার ১৮২ পরিবারের মাঝে দশ কেজি করে ১৮২০ কেজি চাউল বিতরণ করা হবে।

হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি