নিহত জঙ্গি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতো:আইজিপি

আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের পশ্চিম পাশে ছয় নম্বর ভবনটি ঘিরে ফেলে পুলিশ।রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের পুরনো ভবনের চারতলায় ৩০১ নম্বর কক্ষে একজন জঙ্গি অবস্থান নিয়েছেন বলে জানতে পারে পুলিশ। পরে ওই রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে পুরো এলাকায় ঘিরে রাখেন পুলিশ ও পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের সদস্যরা। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’।

সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ওই ভবনের বিপরীত দিকে ওলিও হোটেলের আরেকটি চারতলা ভবনে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বহুতল ভবনটির একটি ফ্লোরের দেয়াল ধসে পড়ে। ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ৯টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কয়েকবার গোলাগুলির আওয়াজ আসে।

রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালের পুরনো ভবনে আত্মঘাতী হওয়া জঙ্গিদের ৩২ নম্বরে আত্মঘাতি হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

নিহত জঙ্গি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতো:আইজিপি (ভিডিও সহ)

এ কে এম শহীদুল হক বলেন – ‘শোক দিবসে ৩২ নম্বরে যে মিছিল-সমাবেশ হবে তাতে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করেছিল ওই জঙ্গি। গতকাল থেকেই আমরা এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিলাম। এ জন্য সোমবার সারারাত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয় ও অনেক সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ফলো করা হয়। পরে জানতে পারি এই এলাকার কোনো হোটেলে জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছে নাশকতার উদ্দেশ্যে। তাদের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরক ছিল। পরে রাতেই গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী পুলিশ এ হোটেলে অভিযান চালায়। এ সময় হোটেলের সব কক্ষ তল্লাশি করা হলেও, এই কক্ষ (জঙ্গির কক্ষ) ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। কেউ সাড়াও দেয়নি। এতে ভেতরে জঙ্গি রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। পরে চারদিক থেকে হোটেলটি ঘিরে ফেলা হয়। আমাদের গোয়েন্দা পুলিশের তৎপরতায় তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। ওলিও হোটেলের একটি কক্ষে সে ছিল। ভেতরে সে সুইসাইডাল ভেস্ট পরে আত্মঘাতি বিস্ফোরণ করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের জন্য বলা হলেও পৌনে ১০টার দিকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সে। এতে হোটেলের দরজা, রেলিং ও কাঁচ ভেঙে পড়ে। এ সময় পুলিশ ওই জঙ্গিকে সুইসাইডাল ভেস্ট ও ব্যাগপ্যাকসহ দেখতে পায়। পরে তাকে গুলি করা হয়। এতে ভবনের দেয়াল ও বারান্দার অংশ ধসে পরেছে। তার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়। তার বাবা একটি মসজিদের ইমাম। সে খুলনা বিএল কলেজে পড়তো এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতো। তার লক্ষ্য ছিল ৩২ নম্বরের মিছিলে আত্মঘাতি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শতশত লোকের হতাহত করার। তাকে বারবার আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হলেও সে আত্মসমর্পণ করেনি।’

নিহত জঙ্গি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি করতো:আইজিপি (ভিডিও সহ)