জয় দিয়ে শুরু কালেন নেইমার

বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে এসে জয় দিয়ে শুরু কালেন নেইমার। নিজে একটি গোল করলেন। আরেকটি করালেন। শেষ বাঁশিতে ৩-০ গোলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো পিএসজি। ম্যাচের অপর গোলটি ছিল আত্মঘাতি। গুঁইগ্যাম্পের রাইটব্যাক জর্ডান ইকোকোর ওই আত্মঘাতী গোলের পেছনেও ভূমিকা ছিল নেইমারের।

এবারের ফরাসি লিগ ওয়ান মৌসুমে পিএসজির প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে পারেন নি নেইমার। কাগজপত্র জটিলতায় দর্শক হয়েই দলের জয় দেখতে হয়েছিল। পিএসজির দ্বিতীয় ম্যাচ অপেক্ষাকৃত দূর্বল দল গুঁইগ্যাম্পের বিরুদ্ধে হলেও সেদিকেই চোখ ছিল সবার। বিশ্বের সবথেকে দামি ফুটবলার নেইমারের অভিষেক বলে কথা।

আক্রমণভাগে কাভানি, ডি মারিয়ার সঙ্গে নেইমারের বোঝাপড়াটা ছিল দারুণ। মনেই হয়নি প্রথমবারের মতো একসঙ্গে মাঠে নেমেছেন। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমন শানাতে থাকেন পিএসজি ফরওয়ার্ডরা। কাভানির একাধিক চেষ্টা রুখেন দেন গুঁইগ্যাম্প গোলকিপার জনসন। খেলার ৩৪ মিনিটে গোল করার প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। জোরালো হেডে গোলকিপারকে পরাস্ত করলেও ক্রসবার লেগে তা ফিরে আসে। এরপর কয়েকবার আক্রমন শানালেও গোলের দেখা পায় নি পিএসজি। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য।

বিরতির পর ৫২ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল গুঁইগ্যাম্পের এক খেলোয়াড় ক্লিয়ার করার চেষ্টায় সতীর্থ ইকোকোর দিকে এগিয়ে দেন। নিতান্ত হাস্যকরভাবে ইকোকো বলটি ঠেলে দেন নিজেদের জালেই। ১০ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পায় পিএসজি। নেইমারের নিখুত লম্বা পাস থেকে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান সুযোগসন্ধানী কাভানি। খেলা শেষ হওয়ার ৮ মিনিট আগে ফের দেখা গেছে কাভানি-নেইমার যুগলবন্দি। এ দফায় ডি-বক্সের মাঝে নেইমারকে বল বানিয়ে দেন কাভানি। কোনাকুনি শটে গোলবারের ওপরের অংশে বল পাঠিয়ে গোল আদায় করে নেন নেইমার।

গোল, অ্যাসিস্ট ও সার্বিক নৈপুন্যে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ট্রফিটাও উঠেছে নেইমারের হাতে। আর নেইমারের স্মরণীয় অভিষেকের দিন মৌসুমের প্রথম এল-ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে তার পুরোনো দল বার্সেলোনা।