“রক্তের সাথে আজও মিশে আছে, সেই ওবায়েদ ভাইয়ের স্মৃতি”
“স্বপ্নের মাঝে বেঁচে আছি, তাইতো আজও স্বপ্ন দেখি। ভালোবাসি বিএনপি, ভলোবাসি জিয়ার আদর্শ। তাছাড়া রক্তের সাথে আজও মিশে আছে সেই ওবায়েদ ভাইয়ের স্মৃতি। বিএনপির আদর্শ লালন করি বলে কতই-না মামলা-হামলা কতই না নির্যাতন। তবুও হাল ছাড়িনি আজও।” এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের ওসমান গণি প্রধানের ছেলে মোঃ ফরিদুর রহমান ।
জানা যায়, ফরিদ স্থানীয় গট্টি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ৫ম শ্রেণী পাশ করে,জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয় ৮ম শ্রেণী ও পরবর্তীতে লস্করকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ১৯৮৯ ইং সালে এস,এস,সি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েও মারাত্বক জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় পরীক্ষা দেননি। পরবর্তিতে ১৯৯০ তে ফরিদপুর জিলা স্কুল হতে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তিতে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বিদ্যাপীঠ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হয়। ৯০-৯১ রাজেন্দ্র কলেজ শাখার ছাত্রদল কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তিনি বিএনপিতে সক্রীয়ভাবে অংশগ্রহণ করে ।
ফরিদ জানায়, একই কলেজ থেকে ১৯৯২তে এইচ,এস,সি,পরীক্ষায় (মানবিক) ১ম ডিভিশনে উত্তীর্ণ হই। ৯৪ বিএ সেকেন্ড ক্লাশে উত্তীর্ণ হই। ছাত্র রাজনীতি হতে গত ২০০৯ সালে সালথা উপজেলা বিএনপির সন্মেলনের মাধ্যমে দ্বি-বার্ষিক বিএনপি সালথা উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। পরবতীর্তে ত্রি-বার্ষিক সন্মেলনে বিএনপি সালথা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয় বলে তিনি জানান।
ফরিদ বলেন, আমি হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অবস্থায় বিএনপি নেতা কে,এম,ওবায়দুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ রাখতাম। কখনও ঢাকায় বনানীর বাসায়, কখনও লস্করদিয়ায়। কলেজ জীবন থেকে ওবায়েদ ভাইয়ের সাথে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, কখনও ওবায়েদ ভাই আমাকে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দিতেন এ হল আমার আদরের ছোট ভাই।
ফরিদ সাংবাদিকদের জানায়, এভাবে বিএনপির হেভী ওয়েট নেতাদের অতি কাছের ওবায়েদ ভাইয়ের লোক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি, এখন ও বলতে হয় ওবায়েদ ভাইয়ের লোক, ফরিদপুর, নগরকান্দা,গট্টির ফরিদ। ছাত্রজীবন হতেই হাসপাতালে রোগীর পাঁশে সেবা প্রদান, কোর্টে মামলায় সহযোগিতা, থানা,পুলিশ জনসেবা অব্যাহত ছিল। আমার নেশা, পেশা একমাত্র রাজনীতি, পাশাপাশি জনসেবা! আমার কখনও অর্থমোহ ছিল না। আমার বাবা একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। যার অর্থে নিজে মানব সেবায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি, এটা সকলের জানা ও প্রমাণিত। এরপর আমার কাজিন বিশিষ্ট শিল্পপতি। অকো টেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সে জানায়, তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত সাজিদ সোবহান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০০৪ সাল হতে গট্টি ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম, আটঘরের ৩টি গ্রামে ঈদ বস্ত্র, শীত বস্ত্র, প্রদানের নেপথ্যে আমার ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, আর্থিক সাহায্য প্রদান, চিকিৎসাবাবদ আর্থিক সাহায্য প্রদান, বিবাহ আর্থিক সাহায্য প্রদান, প্রতিবন্ধি আর্থিক সাহায্য প্রদান, গৃহনির্মাণ আর্থিক সাহায্য প্রদান, মসজিদ নির্মাণে অনুদান এর আমার হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী সাংবাদিকদের জানান, ফরিদ দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হলেও আজও বিএনপির জেলা পর্যায়ের কোনো পদ নেই। তাইতো সালথা উপজেলা তৃণমুল বিএনপি ও সকল অঙ্গসংগঠনের প্রাণের দাবি এই সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী বিএনপি নেতা মোঃ ফরিদুর রহমানকে ফরিদপুর জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হোক।
হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি