সালমান হত্যা নিয়ে আবারও লাইভে রুবি, এবার পাল্টে গেলো তার সুর

সোমবার ৭ আগস্ট ফেসবুক লাইভে এসে সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য জানিয়েছিলেন আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি নারী রাবেয়া সুলতানা রুবি। মৃত্যুর ২২ বছর পর অমর নায়ক সালমানের মৃত্যু জট রুবির এমন কথার বলার পর নতুন মোড় নেয়।

কিন্তু ঠিক দুদিন পর আবারো ফেসবুক লাইভে এসে অনেকটা ভোল পাল্টানো কথা বললেন সেই রুবি। আজ বুধবার সকালে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় রুবি বলেন, ‘আমি বলব না যে এটা আত্মহত্যা বা হত্যা। এটা আমার বলা উচিত না। আমি আগেরবার যেটা বলেছি ভিডিওতে সেটাতে আমার ভুল ছিল। আমি ইমোশনাল ছিলাম বেশি, যার জন্য আমি বলেছিলাম হত্যা। হত্যা নাকি আত্মহত্যা এটা সামিরা এবং তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বের হবে। আত্মহত্যা নাকি হত্যা এটা নিয়ে আর কথা বলব না। ওইদিন মাথা ঠিক না ছিল না, তাই ওসব কথা বলেছিলাম। এখন আমার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে কোনোদিন ভাববেন না যে বাইরের মানুষ আমায় কিছু করেছে। সবসময় মনে করবেন আমার পরিবারের মানুষ আমায় কিছু করেছে।’

রুবি বলেন, ‘সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা কেন কথা বলে না? তার বাবা হীরা কেন এত কথা বলে? ওকি (সামিরা) কি ভিআইপি? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর থেকেও কী উপরে যে উনি কথা বলতে পারেন না? জনগণের সামনে আসতে পারে না? কেন উনার ভয়? কারণ কথা বলতে পারবে নাতো। ওদের ধরুন তাদের ধরলে আরো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। সামিরা কেন সামনে এসে বলে না যে, আমি কি করেছি, আমাকে নিয়ে কেন এত প্রশ্ন বা আমার কি কারণ ছিল যে আমি ওকে খুন করবো। কিছুইতো বলে না ও, যা বলে ওর বাপ শফিকুল হক হীরা।’

সালমান শাহের মৃত্যুর দিনের একটি ঘটনা তিনি উল্লেখ করে ভিডিওতে রুবি বলেন, ‘ইমন যেদিন মারা যায় সেদিন সামিরা একটা কাপড়ের পুটলার মধ্যে কিছু একটা দিয়েছিল, যেটা আমি আমার ছেলের কাছ থেকে শুনেছি। এটি একটি খুন। যেহেতু হাজবেন্ড মারা যাওয়ার পর সামিরা হাসপাতালে না গিয়ে গয়নাগাটি বা কোনো কিছু আমি জানিনা কি ছিল ওই কাপড়ের মধ্যে বাঁধা।’

এতগুলো বছর পর এসব কথা বলার কারণ উল্লেখ করে রুবি বলেন, ‘আমি এর আগে জানতাম সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছে। পোস্ট মর্টেমের রিপোর্টের উপর বিশ্বাস করেই এতদিন জানতাম আত্মহত্যা করেছেন সালমান শাহ। বাংলাদেশ পোস্ট মর্টেমের রিপোর্টে কোনো না কোনো ভেজাল করা যায়। আমার স্বামীকে কিন্তু কেউ দোষ দেবেন না। আমি যে কথা বলেছি সেটা আমার জানের ভয় ছিল দেখেই বলেছি। আমি ভিডিওতে বলার পরে আর জানের ভয় করিনি। ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেছি মানুষের জন্য না। নীলা ভাবীর (সালমান শাহর মা) জন্য একটি মেসেজ ছিল। এসব ভাইরালে আমি বিশ্বাস করিনা। এটা আত্মহত্যা না, খুন হতে পারে। আমার মুখ দিয়ে অন্যকথা বের হয়ে গেছে। যাই হোক কে কি মনে করে এতে আমার কিছু যায় আসে না। আমার স্বামীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সামিরাকে নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে নিয়ে কথা হয়নি। আমাকে অনেকে অনেক কিছু বলছে। আমি অনেক কিছু করেছি। কিন্তু খুন করিনি, কারন খুন করার সাহস আমার নেই।’

উল্লেখ্য, পুলিশ দুই দফা ময়নাতদন্ত করে একে আত্মহত্যাই বলেছিল। কিন্তু নারাজি আবেদন করেছে সালমান শাহের পরিবার। মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তও হয়েছিল। এখন মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইয়ে রয়েছে।