তুফান ও মতিন যুবলীগ ও স্রমিকলীগের নেতা হয় কিভাবেঃ এরশাদ

‘তুফান সরকার কেমন করে বগুড়া শ্রমিক লীগের নেতা হয়? তার ভাই মতিন সরকারই বা কী করে যুবলীগের নেতা হয়’ বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সকালে বনানীতে এরশাদের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এরশাদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘তুফান আওয়ামী লীগের কেউ নয়’ এ মন্তব্যের বরাত দিয়ে বলেন, ‘গঠনতান্ত্রিকভাবে এটি বিষয়টি এমন হলেও, রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষ মনে করে শ্রমিক লীগ আওয়ামী লীগেরই। এদেশে সুশাসন থাকলে কেমন করে তারা মাদক সামাজ্র্যের অধিপতি হয়?’

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন। ঢাকার জলজট, চট্টগ্রামে পাহাড় ধস, শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের চোখ হারানো, খাদ্য সংকটসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। এরশাদ বলেন, ‘কী ঘটছে এখন দেশে? তিতুমীরের ছাত্র সিদ্দিকুরকে চোখ হারাতে হলো। বগুড়ায় মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর তাদের মাথার চুল কেটে নেওয়া হলো। এসবের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা চিহ্নিত। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তেমনটা আমাদের চোখে পড়ছে না।’

জলজট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে এরশাদ বলেন, ‘অতিবর্ষণের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রামের কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। দেশের দুটি বড় শহরের পানি নিষ্কাসনের খালগুলো দখল হয়ে গেছে। খালের জায়গা দখল করছে কারা, নদীর পাড় দখল করে কারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বাড়ি-ঘর নির্মাণ করছে তাদের কি সরকার চিনতে পারে না?’

এরশাদ বলেন, ‘দেশের খাদ্য পরিস্থিতি এখন কতটা নাজুক। সবচেয়ে নিম্নমানের চালও এখন ৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের কাজের সুযোগ নেই। তারা কি করে বাঁচবে?’ তিনি বলেন, ‘খাদ্য গুদামগুলো খালি হয়ে গেলো। অথচ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও হুঁশ ছিল না এটা মার্জনা করা যায় না। এজন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’

জাতীয় পার্টি নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছি। দেশ ও জনগণের স্বার্থে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে আবার আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে আমরা সম্মিলিত জাতীয় জোট গঠন করেছি। আমাদের জোটের প্রতি দেশবাসীর অভূতপূর্ব আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয়, প্রেসিডিয়াম ও ঢাকা মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।