হজ ফ্লাইটের জটিলতায় বিমানমন্ত্রীর জরুরি সভা

যাত্রী সংকটে একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে জরুরি সভা ডেকেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। দুপুর পৌনে ১২টায় সচিবালয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা হবে বলে জানিয়েছেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।

তিনি বলেন, জরুরি সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হাবসহ (হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। আগে হজযাত্রীদের পাসপোর্টে সৌদি দূতাবাসের ইস্যু করা ভিসার স্টিকার লাগানো হতো। কিন্ত এবার ভিসা অনলাইনে করা হয়েছে। হজে যাওয়ার সময় পাসপোর্টের সঙ্গে আলাদা কাগজে ই-ভিসার প্রিন্ট করা কপি সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। এই ই-ভিসা দেখে অনলাইনে চেক করে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ পাস দিচ্ছে। কিন্তু সার্ভারের সিস্টেম জটিলতায় অনেকের ভিসা প্রিন্ট হচ্ছে না।

অন্যদিকে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে হজ করেছেন- এমন হজযাত্রীদের উপর হঠাৎ করে অতিরিক্ত ২ হাজার রিয়েল আরোপ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ভিসা আবেদনের সঙ্গে টাকা প্রদানের রসিদ না দিলে ই-ভিসার আবেদনপত্র গ্রহণ করছে না সৌদি     দূতাবাস। এই দুটি কারণে অনেক হজযাত্রী নির্ধারিত দিনে হজ ফ্লাইট ধরতে পারছেন না। প্রতি দিনই খালি যাচ্ছে ফ্লাইট। যাত্রী সংকটে মঙ্গলবারও চারটি হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে শেষের দিকে হজ ফ্লাইটে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ২৪ জুলাই। তা শেষ হবে আগামী ২৬ আগস্ট। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৫ অক্টোবর।

এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স সমান অনুপাতে হজযাত্রী পরিবহন করবে।