শোকের প্রথম প্রহরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীদের শ্রদ্ধা ৱ্যালী
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন। ১৯৭৫ সালের এ মাসেই বাঙালি জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শোকের মাস আগস্টের ‘প্রথম প্রহর’ এ শ্রদ্ধা ৱ্যালী করে কলাবাগান থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা।
দীপ জ্বালিয়ে বঙ্গনেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ৱ্যালীটি পরিচালনা করেন কলাবাগান থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, কলাবাগান থানা ১৭নং ওয়ার্ডের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন ও সকল নেতা কর্মীরা। এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে বঙ্গনেতা শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার ও সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আজকে এ শোক দিবসের প্রথম প্রহরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রতিজ্ঞা করা উচিত। তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমাদের আজকের তরুণ সমাজের উচিত দেশে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দেশকে আরও সমৃদ্ধশালী করে গোড়ে তোলা।
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন।
সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানীর নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে।