মন্ত্রিসভায় কঠোর শাস্তির বিধান রেখে অনুমোদন হল বিদ্যুৎ আইন

মন্ত্রিসভা আজ বিদ্যুৎ আইন-২০১৭’র খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এতে নাশকতা, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামো ধ্বংস ও বিদ্যুৎ চুরিসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। খসড়ায় কোন বিদ্যুৎ স্থাপনায় যেকোন ধরনের নাশকতা বা ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড বা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন, খুঁটি বা যন্ত্রপাতির ক্ষতিসাধনের জন্য সর্বনিম্ন ৭ বছর ও সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদন্ড ও সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এম শফিউল আলম ব্রিফকালে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সচিব বলেন, দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সমন্বিত ব্যবস্থায় পরিচালনা ও দক্ষ লোড ম্যানেজমেন্টের জন্য স্বাধীন সিস্টেম অপারেটর চালুর প্রস্তাব রয়েছে এই নতুন আইনে। বৈঠকে আরো ৪টি প্রস্তাবিত আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। এগুলো হচ্ছে : সশস্ত্র বাহিনী প্রধানগণ (নিয়োগ, বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা) আইন-২০১৭, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৭, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৭ ও খৃস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০১৭। বৈঠকে সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ভিসা মওকুফ চুক্তিতে অনুসমর্থন দেয়া হয়। সম্প্রতি শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

মন্ত্রিসভা প্রতিবছর ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নতুন বিদ্যুৎ আইন ১৯১০ সালে প্রণীত বিদ্যমান আইনের স্থলাভিষিক্ত হবে। এতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে পিডিবি, ডেসকো ও ডেসার আওতায় কোন নতুন লাইন স্থাপন বা গণপূর্ত কাজ করা যাবে না। প্রস্তাবিত আইনে বিদ্যুৎ খাতের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবৈধ সংযোগ দেয়া বা যে কোন ধরনের ত্রুটিপূর্ণ কাজ বা অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকা-ের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এসব অপরাধে সাধারণভাবে ৬ মাস কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ড হতে পারে।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা) আইন-২০১৭ এর অনুমোদিত খসড়াতে সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধানগণ নিয়োগের তারিখ থেকে ৪ বছর দায়িত্ব পালনের বিধান রয়েছে। এতে প্রধানগণের বেতন ৮৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সঙ্গে তারা আউটফিট এ্যালাউন্স, আবাসিক ও সার্বক্ষণিক গাড়িসহ বেসামরিক কর্মকর্তাদের মতো অন্যান্য সুবিধা পাবেন।