উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে সুজনকে

রোববার সকাল থেকেই অসুস্থ জাতীয় দলের ম্যানেজার, সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। বিকেলে বিসিবির জরুরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায়ও উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। সন্ধ্যার পর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে সুজনকে নিয়ে আসা হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। রাতে তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে আইসিইউতে নিয়ে গিয়ে দেয়া হয় লাইফ সাপোর্ট।

সকাল থেকেই অবস্থার উন্নতি হতে থাকে সুজনের। লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়। পরে এমআরআই করানো হলে দেখা যায় রিপোর্টও ভালো। তবুও খালেদ মাহমুদ সুজনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ রাত ১১টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সুজনকে নেয়া হবে সিঙ্গাপুরে। সঙ্গে যাবেন তার বড় ভাই আশফাক আহমেদ ইয়াফি। বিসিবির পক্ষ থেকেও একজন ডাক্তার যাবেন সুজনের সঙ্গে।

সুজন অসুস্থ হওয়ার খবর গতকালই পৌঁছে দেয়া হয় বিসিবির কাছে। বিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভার পরই সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ফোন করেন সুজনের বড় ভাই আশফাক আহমেদ ইয়াফি। এরপর থেকে আজ বিকেল পর্যন্ত তিন-চারবার হাসপাতালে এসে সুজনকে দেখে যান বিসিবি প্রেসিডেন্ট।

গতকাল সন্ধ্যায় বিসিবির সভা শেষেই তিনি একবার ইউনাইটেড হাসপাতালে এসে সুজনকে দেখে যান। এরপর রাত ১২টা থেকে ১টার দিকে যখন সুজনের অবস্থা আরও খারাপ হয়, রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং বিলুরুবিন কমে যায়, তখন লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বিসিবি সভাপতিকে ডেকে আনা হয়। সুজনের অবস্থার কথা শুনে তিনি নিজেই হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসেন। নিজে উপস্থিত থেকে চিকিৎসা তদারকি করেন।

আজ বিকেলে আবারও আসেন তিনি। সুজনকে দেখে বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। এ সময় বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘খালেদ মাহমুদ সুজনের পাশে রয়েছে বিসিবি। বোর্ডের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে- যেন তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। সকাল থেকে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এমআরআই রিপোর্টও ভালো এসেছে। তবুও আমরা তার সম্পর্কে কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। আরও উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হবে।’